বেশ কিছুদিন আগেই ভিন জাতে বিয়ে করায় মেয়ের পেছনে গুন্ডা লাগানোর কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। যা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল দেশ। ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা সাক্ষী মিশ্রের সাথে। দায়ী করেছিলেন নিজের বিজেপি বিধায়ক বাবাকে। সেই ঘটনার রেশ এখনও থিতিয়ে যায়নি। তারই মধ্যে আরও একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন যুবতী নিরাপত্তা চাইছেন ভিন জাতে বিয়ে করার কারণে। সাক্ষী মিশ্র হলেন উত্তরপ্রদেশের বিধায়কের মেয়ে। কিন্তু এই যুবতী তাও নন। একেবারেই সাধারণ পরিবারের মেয়ে। এবার উঠে এল আরেক বিজেপি শাসিত রাজ্য সীমারিয়া গ্রামের কথা। বিবাহিত ওই যুবতী নিরাপত্তা চেয়েছেন পুলিশের কাছে। কারণ তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই হুমকির কারণ ভিন জাতে বিয়ে করেছেন সেই যুবতী। এটাই তাঁর অপরাধ। এমনকী ভিডিও’র শেষে তিনি বলেন, “কেউ যদি আমাদের সাহায্য না করেন, তাহলে আমাদের আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে।”
এই ভিডিওর পরই সীমারিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিকেএস পারিহার জানান, বিষয়টি তাঁরা তদন্ত করে দেখছেন এবং যুবতীটিকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাও দেওয়া হবে। পুলিশ সূত্রের খবর, এই যুবতীর নাম রাগিনী দ্বিবেদী। তিনিই ১৫ জুলাই নিরাপত্তা চেয়ে ভিডিও আপলোড করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা এখন ভাইরাল। সেখান থেকেই জানা যায়, ভিন জাতে বিয়ে করায় তাঁকে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে।
ভিডিওতে ঠিক কী বলেছেন রাগিনী?
ভিডিওটিতে রাগিনী জানিয়েছেন, “আমার বয়স ২২। আমি ডিকে কুশওয়াহাকে বিয়ে করেছি। আমরা পরস্পরকে ভালবাসি এবং আমরা বিয়ে করে সুখী। কিন্তু আমার পরিবার ও জনৈক অনিল দীক্ষিত আমাদের খুন করার ষড়যন্ত্র করেছে। আমি এলাকার পুলিশ এবং সংবাদমাধ্যমের কাছে সাহায্য চাইছি। ইতিমধ্যেই তাঁরা আমার স্বামীর পরিবারকে হুমকি দিয়েছে। আমরা কোনও অপরাধ করিনি পরস্পরকে বিয়ে করে।”