লোকসভা ভোটে কিছুটা আসন বৃদ্ধি পেতেই অত্যধিক বাড়বাড়ন্ত গেরুয়া শিবিরের। জয় শ্রী রাম ধ্বনি তুলে যেখানে সেখানে হামলা চালাচ্ছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এবার তৃণমূল জামাইয়ের পাশে দাঁড়ানোয় শ্বশুরকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের সালেপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের রতনপুর সংলগ্ন এলাকায়। আক্রান্ত ওই ব্যক্তির নাম গুরুপদ খাঁড়া। বাড়ি আরামবাগ পুরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডের ওলাবিবিতলায়। বর্তমানে তিনি আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুরুপদবাবু বলেন, ‘আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছে রতনপুরে। জামাই সঞ্জয় মণ্ডল তৃণমূলের কর্মী। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপি তাদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে। প্রতিনিয়ত তাদের হুমকি দিচ্ছে। তাই মেয়ে–জামাই কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে সাহস পাচ্ছে না। এমনকী, বাজারে যেতেও পারছে না। তাই আমি বাজার করে শনিবার সন্ধেবেলা মেয়ের বাড়িতে দিতে গিয়েছিলাম। আর তা দেখেই ফেরার পথে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমার বাইক আটকায়। আমাকে বাইক থেকে নামিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। এছাড়াও পিছন থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে দেয়। পরে খবর পেয়ে আরামবাগ থানার পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে।’
অন্যদিকে, তৃণমূল পরিচালিত এক পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানকে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপি–র বিরুদ্ধে। শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে খানাকুল ২ নম্বর ব্লকের চিংড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। আক্রান্ত ওই প্রধান ও উপপ্রধানের নাম যথাক্রমে কার্তিক ঈশর ও নীলিমা ঈশর। বাড়ি পঞ্চায়েত সংলগ্ন চিংড়ায়। জানা গেছে, এদিন তাঁরা ঘটনার সময় পঞ্চায়েত ভবনেই ছিলেন। অভিযোগ, তখন বিজেপি আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী লাঠি, বাঁশ ইত্যাদি নিয়ে সেখানে চড়াও হয়। পঞ্চায়েত ভবনে ঢুকে প্রধান ও উপপ্রধানকে মারধর করে। তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে কয়েকজন তৃণমূল কর্মীও প্রহৃত হন। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে খানাকুল থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এলাকায় যায়। পরে ওই দুষ্কৃতীদের হাত থেকে প্রধান ও উপপ্রধানকে পুলিশ উদ্ধার করে।