বিশ্বকাপের টিমে সুযোগ না পেয়ে টুইট করেছিলেন অম্বাতি রায়ডু। যা হইচই ফেলে দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটে। আর বিশ্বকাপের পরেই রায়ডু অবসর নিয়ে নেন।রায়ডু-বিতর্ক যেন মিটেও মেটেনি। রবিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য টিম নির্বাচনের মধ্যেই ফের উঠে এল সেই বিতর্কই। যা নিয়ে নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান বলে দিয়েছেন, তাঁরা কোনও ভাবেই পক্ষপাত দুষ্ট নন। বিশ্বকাপের আগে থেকে চার নম্বর জায়গাটা নিয়ে চর্চা চলছিল। শিখর ধাওয়ান চোট পাওয়ার পর ঋষভ পন্থকে টিমে নেওয়া হয়। বিজয় শঙ্কর আবার চোটে ছিটকে যাওয়ার পর টিমে মায়াঙ্ক আগরওয়াল। রায়ডুকে কোনও ভাবেই বিবেচনা করা হয়নি। এর কারণ হিসেবে টিম কম্বিনেশন তুলে ধরেছেন নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান।
একজন ওপেনারের পরিবর্তে মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যানকে পাঠানোয় অনেকে অবাক হয়েছিলেন বটে কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্টের নির্দেশমতোই যে তারা কাজ করেছিলেন, প্রসাদের কথায় তা স্পষ্ট। এরপর বিজয় শংকরের পরিবর্ত হিসেবেও রায়ডুর দলে ডাক না পাওয়া প্রসঙ্গে নির্বাচক প্রধান জানান, ইংল্যান্ড ম্যাচে ফিল্ডিং করতে গিয়ে রাহুল সামান্য চোট পাওয়ায় তার ব্যাকআপ হিসেবে আরেক ওপেনার ময়াঙ্ক আগরওয়ালকে ইংল্যান্ডে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ওই মুহূর্তে হাতের কাজে পরিস্থিতি অনুযায়ী ময়াঙ্ক ছাড়া আর কেউই বিশেষ মজুত ছিলেন না বলে জানান প্রসাদ। তাই দল নির্বাচনে রায়ডুকে না ডাকার কারণ সম্পর্কে প্রত্যেকের জ্ঞাত হওয়া উচিৎ বলে মনে করেন নির্বাচক প্রধান।
প্রসাদের কথায়, ‘যতটা আবেগ কোনও এক জন ক্রিকেটারের আছে, ঠিক ততটাই আছে নির্বাচক কমিটির সদস্যদেরও। কারণ, আমরাও ক্রিকেটটা খেলেছি। কোনও প্লেয়ারকে টিমে নেওয়ার পর সে পারফর্ম করলে আমরা খুশি হই। ঠিক একই ভাবে কোনও প্লেয়ার টিম থেকে বাদ পড়লে আমরা তার জন্য দুঃখও পাই। ঠিকই একই ভাবে বলতে পারি, কোনও প্লেয়ারকে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা কখনওই ব্যক্তিগত পছন্দ বা অপছন্দকে গুরুত্ব দিই না। পক্ষপাত দুষ্ট হই না। বিজয় শঙ্কর, ঋষভ পন্থ বা মায়াঙ্ক আগরওয়ালের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা তা-ই ছিল।’ আসলে রায়ডুর ক্রিকেট থেকে সরে যাওয়ার জন্য যতটা তির হজম করতে হয়েছিল নির্বাচক কমিটিকে, তা থেকে বাঁচতে যুক্তির পর যুক্তি সাজিয়েছেন প্রসাদ।