স্বপ্নের দলের সঙ্গে তাঁর যাত্রা শুরু হয়ে গিয়েছে। ফরাসি স্ট্রাইকার আঁতোয়া গ্রিজম্যান স্বীকার করলেন, বার্সেলোনায় সই করার পরে তিনি আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলেন। লিওনেল মেসির সঙ্গে খেলার জন্য ছটফট করছেন আঁতোয়া গ্রিজম্যান। গ্রিজম্যান বলেছেন, ‘মেসির সঙ্গে খেলার মজাই অন্যরকম। প্রতিদিন ও কীভাবে প্র্যাকটিস করে, কীভাবে তৈরি হয়, তা দেখার খুব ইচ্ছে আছে। ও ট্রেনিংয়ে যা যা করে, সেটা করারও চেষ্টা করব। পাশাপাশি মাঠের বাইরে মেসি ঠিক কেমন মানুষ, সেটাও জানতে চাই। মেসি জন্য তো বটেই ক্লাবের জন্য, বাকি সতীর্থদের জন্যও সবটুকু উজাড় করে দেব।’
অ্যাটলেটিকো থেকে এ বার ১২০ মিলিয়ন ইউরোর (ভারতীয় মুদ্রায় ৯২৮ কোটি) বিনিময়ে আতলেতিকো ছেড়ে বার্সেলোনায় এসেছেন তিনি। যদিও এই চুক্তি নিয়ে এখনও খুশি হতে পারেনি তাঁর পুরনো ক্লাব। স্প্যানিশ মিডিয়ার খবর, প্রয়োজনে ফিফার দ্বারস্থ হতে পারে তারা। যদিও তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না ২৮ বছরের তারকা। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার এই ক্লাবে আসার প্রধান কারণ লিয়োনেল মেসি। ওর পাশে খেলার সুযোগ পাব, সেটা ভেবেই আমি রোমাঞ্চিত। আমি অধীর আগ্রহ নিয়ে ওর ফেরার অপেক্ষায় রয়েছি।’’ অনেকে মনে করছেন, গ্রিজম্যান যতটা স্বাধীনতা নিয়ে খেলতেন অ্যাটলেটিকোতে, তা এই ক্লাবে কতটা সম্ভব হবে? বিশ্বজয়ী ফ্রান্স দলের অন্যতম তারকা তা নিয়ে চিন্তিত নন। তিনি বলেছেন, ‘‘অনুশীলনে আমি মেসির থেকে সমস্ত কিছু শিখে নেওয়ার চেষ্টা করব এবং পরে ম্যাচে তা নিজের মতো ব্যবহার করার চেষ্টা করব।’’ আরও বলেছেন, ‘‘আমি যতটা বুঝেছি তাতে মাঠে এবং মাঠের বাইরে মেসির সঙ্গে সময় কাটাতে পারলে নিজের খেলাকে আরও উন্নত করতে পারব।’’
নতুন ক্লাবে আর কোন লক্ষ্য নিয়ে যাচ্ছেন? গ্রিজম্যান বলেন, ‘বার্সার সমর্থকদের আনন্দ দেওয়াই মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি প্রতি মুহূর্তে ফুটবল উপভোগ করতে চাই। বার্সিলোনা দলে সুয়ারেজ আছে, মেসি আছে। আছে ডেম্বেলে, ডি জং এবং আমি। সবাই মিলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ব। বার্সার সমর্থকদের যদি জিজ্ঞেস করেন, ওঁরা বলবে তিনটে ট্রফি চায়। আমরাও সেই লক্ষ্যে ঝাঁপাব।’
পরিবারের সঙ্গে এখনও ছুটি কাটাচ্ছেন মহাতারকা লিয়োনেল মেসি। কিন্তু তাঁকে ছাড়াই প্রাক-মরসুম সফর শুরু করে দিয়েছে বার্সেলোনা। টোকিয়োতে আগামী মঙ্গলবার বার্সা খেলবে নতুন ম্যানেজার ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের চেলসির বিরুদ্ধে। তার আগে স্পেনের এক সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গ্রিজম্যান বলেছেন, ‘‘আমার দলবদল নিয়ে একটা অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল। তার পরে যে দিন খবর এল যে, চুক্তি নিয়ে আর সমস্যা নেই, তখন আনন্দে নেচে উঠেছিলাম।’’ যোগ করেন, ‘‘বাবাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বলেছিলাম, বার্সার হয়ে খেলতে আর সমস্যা নেই। আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলাম। সেই সময়ে আমার সঙ্গে স্ত্রী, সন্তানরা এবং বেশ কিছু বন্ধুও ছিল। ওই মুহূর্তটা ভুলতে পারব না।’’