বিশ্বকাপ ক্রিকেট ফাইনালে তাঁর দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্রিকেট দুনিয়ায় বিতর্কের ঝড় উঠেছে। যার রেশ এখনও কাটেনি। লর্ডসে গত রবিবার কাপ ফাইনালের সেই আম্পায়ার শ্রীলঙ্কার কুমার ধর্মসেনা অবশেষে মুখ খুললেন। সঙ্গে পরিষ্কার স্বীকার করে নিলেন, ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে তার জন্য যে কোনও অনুশোচনা নেই তাঁর, সে কথাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার এই বিতর্কিত আম্পায়ার।
ফাইনাল ম্যাচের শেষ ওভারে ভুল সিদ্ধান্তের কথা স্বীকার করে তিনি জানিয়েছেন, ‘ওভারথ্রোয়ে বল ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান বেন স্টোকসের ব্যাটে লেগে বাউন্ডারিতে চলে যাওয়ায় আমি ওই বলে ৬ রান দিয়েছিলাম ইংল্যান্ডকে। নিয়ম অনুযায়ী আমার ৫ রান দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু পরে টিভি রিপ্লেতে দেখার পর আমি বুঝতে পারি যে সেদিন একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু যেহেতু মাঠে আমরা টিভি রিপ্লে দেখার সুযোগ পাই না, তাই এই সিদ্ধান্তের জন্য আমার কোনও অনুশোচনা নেই।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ফাইনালের শেষ ওভারের ওই ভুল সিদ্ধান্তই হয়ত ইংল্যান্ডকে প্রথমবারের বিশ্বকাপ এনে দিল। কারণ ওই বলে ৫ রান দেওয়া হলে পরের বলে স্টোকসের পরিবর্তে আদিল রশিদকে স্ট্রাইক নিতে হত। তাতে খেলার ফলাফলটা অন্যরকম হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা ছিল। ইতিহাসটাই হয়ত বদলে যেত।
বিশ্বকাপ ফাইনালে নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে মার্টিন গাপ্টিলের থ্রো ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যান বেন স্টোকসের ব্যাটে লেগে বাউন্ডারি হয়ে গেলে ধর্মসেনা ছয় রান দিয়েছিলেন। টিভি রিপ্লে-তে পরিষ্কার দেখা গিয়েছিল ইংল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যান বেন স্টোকস ও আদিল রশিদ দৌড়নোর সময়ে দু’রান পূর্ণ হয়নি। ফলে স্কোরবোর্ডে পাঁচ রান যুক্ত হওয়ার কথা ছিল ইংল্যান্ডের, ছয নয়। স্বভাবতই ছয় রান যুক্ত হওয়ায় সে দিন ম্যাচ ‘টাই’ হয়ে যায়। চার রান দেওয়া হয়েছিল ওভারথ্রোর জন্য। আর দু’রান দৌড়ে নেওয়া। ফলে ম্যাচ শেষ পর্যন্ত গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানেও খেলা অমীমাংসিত ভাবে শেষ হওয়ায়, বেশি বাউন্ডারি মারার বিচারে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।