কর্ণাটক বিধায়ক নাটক আজও অব্যাহত। আর সেই নাটকে নতুন মোড় নিল। আজই আস্থা ভোটে হবে এমনই ঘোষণা করেন অধ্যক্ষ কেআর রমেশ। বহু টালবাহানার পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান অধ্যক্ষ। অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘প্রত্যেকে আমাদের দেখছেন। আসুন আমরা লক্ষ্যে পৌঁছই।’’ এই নাটকে ময়দানে নেমেছিলেন রাজ্যপাল বাজুভাই বালাও। সোমবার, আস্থাভোট নিয়ে বিতর্ক শুরুর আগে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন রমেশ। তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যেকে আমাদের দেখছেন। দয়া করে আমাকে বলির পাঁঠা করবেন না। চলুন আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছই।’’ অধ্যক্ষের এই মন্তব্যই যেন সুর বেঁধে দেয় এ দিনের অধিবেশনের।
সরকার বাঁচাতে অবশ্য এখনও মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন জোটের নেতারা। বিদ্রোহীদের সঙ্গে সমঝোতা করতে নতুন প্রস্তাব দিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা। তাঁরা কুমারস্বামীর বদলে কংগ্রেসের কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাব দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে সিদ্দারামাইয়া, জি পরমেশ্বর বা ডিকে শিবকুমারের মতো কংগ্রেস নেতাদের নাম। এর মাঝেই অবশ্য কংগ্রেস-জেডিএস জোটকে সামান্য স্বস্তি দিয়েছেন কর্নাটকের একমাত্র বিএসপি বিধায়ক এন মহেশ। আস্থাভোটের সময় না থাকার কথা আগে ঘোষণা করেছিলেন মহেশ। সেই অবস্থান থেকে পিছিয়ে এসে কুমারস্বামীর পক্ষে ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার, রাজ্যপাল দু’বার চরম সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পরেও আস্থাভোট হয়নি কর্নাটকে। কুমারস্বামী ও সরকার পক্ষের কয়েকজনের বক্তৃতার পরেই স্থগিত হয়ে যায় বিধানসভা। তাই, সোমবারের মধ্যে আস্থাভোট করার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন দুই জোটত্যাগী নির্দল বিধায়ক। যদিও, দ্রুততার ভিত্তিতে সেই আবেদন শোনার আর্জি খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।