রাহুল গান্ধী সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছিল যে, পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি কে হবেন। রাহুল বলেছিলেন, গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ যেন এবার সভাপতি হয়। কিন্তু কংগ্রেসের অন্যান্য শীর্ষ নেতারা চাইছেন, দলের সভাপতি নিয়োগ করা হোক নেহরু-গাঁধী পরিবার থেকেই। পরিবারের বাইরের কোনও ব্যক্তিকে এই পদে বসালে নিশ্চিত ভাবেই ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে কংগ্রেস। সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা নটবর সিংহ।
এদিন তিনি আরও বলেন যে, “একমাত্র প্রিয়ঙ্কা গাঁধীই হতে পারেন এই পদের যোগ্য অধিকারী।” তবে সূত্রের খবর, শুধু নটবর সিংহই নন, এমনটা ভাবছেন দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতারাও। তবে প্রিয়ঙ্কাকে কেন যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে মনে করছেন তাঁরা? এই প্রশ্ন করা হলে সংবাদিকদের উদ্দেশ্যে নটবর বলেন, “উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রে প্রিয়ঙ্কার ভূমিকা গোটা দেশ দেখেছে। সেখানে থেকে লড়াই চালিয়ে দাবি আদায় করেছেন তিনি। এটা সত্যিই অসাধারণ।”
কিন্তু প্রিয়ঙ্কা এই পদ গ্রহণ করবেন কি না তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন নটবর। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পুরোটাই নির্ভর করছে প্রিয়ঙ্কা এবং গাঁধী পরিবারের উপর।” সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই রাহুল গান্ধী জানিয়েছিলেন, “পরবর্তী সভাপতি গাঁধী পরিবারের বাইরে থেকেই যেন বেছে নেওয়া হয়।” তবে রাহুলের এই সিদ্ধান্ত বদলে ফেলা উচিত, আর সেটা করতে পারবে একমাত্র গাঁধী পরিবারই। এমনটাই মনে করেন নটবর। শুধু নটবর সিংহ নন, প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর ছেলে তথা কংগ্রেস নেতা অনিল শাস্ত্রীর গলাতেও কয়েক দিন আগে একই সুর শোনা গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, “অন্য কেউ নয়, প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকেই কংগ্রেস সভাপতি করা উচিত। আর এটা ১০০ শতাংশ গ্রহণযোগ্য।”
রাহুল গান্ধীর ইস্তফার পরেই তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি খুঁজতে মরিয়া হয়ে উঠেছে দল। কয়েকটি নাম সামনেও আসে। তবে দলীয় সূত্রের খবর, দলের অনেকেই তাতে সায় দেননি। এর মধ্যেই দলের একাংশ আবার প্রিয়ঙ্কাকে রাহুলের উত্তরসূরি হিসেবেই তুলে ধরছেন। দলের অন্দরে সে দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। নটবরের মতো শীর্ষ নেতৃত্বের এমন মন্তব্য সেই দাবিকে আরও উস্কে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।