হিরের খোঁজে আফ্রিকার গভীর অরণ্য পেরিয়ে চাঁদের পাহাড়ে পাড়ি দিয়েছিলেন শংকর। তবে অন্ধ্রপ্রদেশের কুরনুল জেলার গোলাভানেপল্লী গ্রামের এক কৃষক বাড়ির লাগোয়া ক্ষেতেই হিরের সন্ধান পেয়ে গেলেন। প্রতিদিনের মতোই জমিতে চাষ করছিলেন এক কৃষক। মাটি খুঁড়তে গিয়ে হঠাৎ একটি স্বচ্ছ নুড়ি দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। পাথরটা ট্যাকে গুঁজে সোজা গয়নার দোকান ছুটে যান তিনি। পাথরটি পরীক্ষা করেই চক্ষু চড়কগাছ দোকানের মালিকের। স্বচ্ছ পাথরটি আসলে বেশ বড়সড় একটি হিরে। যার বাজার মূল্য অন্তত ৬০ লক্ষ টাকা!
রোজকার মতো চাষের জমিতে কাজ করার সময়েই হিরে খুঁজে পান ওই কৃষক। ইতিমধ্যেই ওই চাষির থেকে ১৩.৫ লক্ষ টাকা ও পাঁচ তোলা সোনার বিনিময়ে হিরেটি কিনেছেন এক স্থানীয় হিরে ব্যবসায়ী। আল্লাহ বক্স নামের ওই হিরে ব্যবসায়ীর মতে, “হিরা কেটে পালিশ করার পরে তার দাম প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। অভিজ্ঞ কারিগর দিয়ে পালিশ করলে তবেই মিলবে হিরের আসল মূল্য”।
গোটা ঘটনাটি এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না ওই চাষি। তবে, অন্ধ্রপ্রদেশের এই অংশে হিরে খুঁজে পাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগেও কুরনুল জেলাও তার আশেপাশের চাষের ক্ষেত, নদীর পার থেকে হিরে খুঁজে পেয়েছেন অনেকে। প্রতি বছর বর্ষার সময়ে তুঙ্গভদ্রা ও হুন্ডরী নদীর আশেপাশে তাঁবু করে থাকতে শুরু করেন অনেকে। লক্ষ্য একটাই। বর্ষায় ধুয়ে আসা বালি-কাদার মধ্যে হিরের খোঁজ চালানো।