গতকালই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ হুমকি দিয়েছিলেন, কলকাতার শহীদ দিবসের সমাবেশে যাওয়া তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করা হবে। কথামতোই বিজেপির দুষ্কৃতী বাহিনীরা তান্ডব চালালো কলকাতাগামী বাসের ওপর। একুশে জুলাইয়ের জনসভায় যাওয়ার পথেই তৃণমূল কর্মীদের বাসে শুরু করলো তাণ্ডব৷ ভাঙা হল ৫টি বাস৷ শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার অন্তর্গত বাগিচাবাঁধ ও চেকপোস্টের মাঝের রাস্তায়৷ এই ঘটনায় বিজেপি ও সিপিএমের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল৷ যার ফলে সেই রাম-বাম জোট আবার প্রকাশ্যে চলে এলো।
জানা গিয়েছে, ধর্মতলার শহিদ সমাবেশে যাওয়ার জন্য বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে শাসকদলের কর্মীদের নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল বাসগুলি৷ শনিবার রাত একটা নাগাদ বাঁকুড়া-বর্ধমান ভায়া রসুলপুর রাস্তায় বাগিচাবাঁধ ও চেকপোস্টের মাঝে, বাসগুলিকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ৷ বড় বড় থান ইটের আঘাতে ভেঙে যায় বাসের কাচ৷ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৫টি বাস৷ ঘটনায় আঘাত পান এক তৃণমূল কর্মী৷
তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে৷ শাসকদলের তরফে বিষ্ণুপুর জেলার সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা জানান, ‘‘সিপিএমের হার্মাদরা এখন শিবির বদলে বিজেপিতে গিয়ে নাম লিখিয়েছে৷ দীর্ঘদিন ধরেই ওরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিকভাবে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করেছে৷ এদিনও ওরাই হামলা চালিয়েছে৷ পাত্রসায়র ও ইন্দাসেও ওরা বাস আটকানোর চেষ্টা করেছে৷’’ যদিও বিজেপির তরফ থেকে এই অভিযোগের কোনো প্রতিবাদ এখনো পর্যন্ত হয়নি। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাস ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ইন্দাস থানার পুলিশ৷
প্রসঙ্গত, একুশের সমাবেশের আগেই ‘কাটমানি’র ধোঁয়া উস্কে দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, “২১-এর সমাবেশে যাওয়ার আগেই তৃণমূল কর্মীদের বাস আটকে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে হামলা চালানো হবে। এই হুমকির পরেই তাঁর বিরুদ্ধে হিংসাত্মক প্ররোচনার অভিযোগ তুলে হেয়ার স্ট্রিট থানার দ্বারস্থ হন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য৷ দিলীপের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন তিনি৷