শহরে গঙ্গাতীরের ঘাটগুলির সৌন্দর্যায়নের দিকে ফের নজর দিল কলকাতা পুরসভা। তিনশো বছরের ঐতিহ্যশালী এই শহর কলকাতা। এই শহরের অলিগলি, রাস্তাঘাটের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস। গঙ্গার তীরে গড়ে ওঠা শহরগুলিকে নিয়ে রয়েছে নানা কাহিনি। আর গঙ্গার ঘাটগুলি নানারকম ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রয়ে গেছে।
ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকা শহরের সেই সব ঘাট সংস্কার করে সাজিয়ে তুলবে কলকাতা পুরসভা। গঙ্গার প্রতিটি ঘাটেই রয়েছে কোনও না কোনও মন্দির। ঘাটের মতো মন্দিরগুলিও প্রাচীন। এবার গঙ্গার ঘাট ও সংলগ্ন মন্দিরগুলি সংস্কার করে সাজিয়ে তোলা হবে। এমনকি ঘাট ও মন্দিরগুলি নিয়ে একটি বইও তৈরি করবে কলকাতা পুরসভা। সম্প্রতি এমনই এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পুর প্রশাসনের তরফ থেকে।
জানা গেছে, এই বই তৈরি হবে পুর সচিবের তত্ত্বাবধানে। ঘাট ও মন্দিরের ছবি, ইতিহাস, নির্মাণশৈলী নিয়ে তৈরি করা হবে বই। এখনও কলকাতায় বেড়াতে এলে নিমতলা ঘাট, প্রিন্সেপঘাট, বাবুঘাট, রতনবাবুর ঘাটে ভিড় জমান দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। বাকি ঘাটগুলি সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। সেগুলি সম্পর্কেও যাতে মানুষের আগ্রহ বাড়ে, তাই এই উদ্যোগ।
পুর আধিকারিকদের কথায়, বেনারসের মতো এ রাজ্যেও গঙ্গার দু’পাড়ের শহরগুলিকে কেন্দ্র করে রয়েছে নানা কাহিনি। তা সে স্নানঘাটই হোক বা শ্মশানঘাট। কলকাতায় মোট ৬৪টি ঘাট রয়েছে। প্রতিটি ঘাটের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাস। ঘাটগুলিও হেরিটেজের আওতায় পড়ে। এবার সেই সব ঘাট সারিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর রাখা হবে। দিনে দু’বার করে ঘাট চত্বর পরিষ্কার করা হবে।
সূত্রের খবর, ঘাটগুলিতে বসার জায়গা তৈরি করা হবে। সংস্কারের পর ঘাটের ইতিহাসও লিখে রাখা হবে ঘাটের দেওয়ালে। আর কলকাতায় মন্দির ছাড়া কোনও ঘাট নেই। তা সে ঠাকুরবাড়ির স্নানঘাট হোক, কিংবা শিরিটি শ্মশানঘাট। সব ঘাটেই রয়েছে মন্দির। যদিও সেই সব মন্দির কে বা কারা তৈরি করে গেছেন, তার সবগুলির সঠিক তথ্য নেই। তবে যেটুকু পাওয়া গেছে, তা সংগ্রহ করে মন্দিরের গায়ে লেখার ভাবনাচিন্তাও রয়েছে কলকাতা পুরসভার তরফে।