ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ ফাইনালে নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ টাই। কিন্তু ম্যাচের ভাগ্য শেষ পর্যন্ত কোন দল বেশি বাউন্ডারি মেরেছে তা দেখে ঠিক করা। ক্রিকেটের সেরা টুর্নামেন্টের এ রকম পরিণতি অনেকেই মানতে পারেননি। নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বলে দিয়েছেন, তাঁরা বিশ্বকাপ ফাইনালে হেরেছেন এটাই বিশ্বাস করেন না। শচিন তেন্ডুলকর দাবি করেছেন, বাড়তি সুপার ওভারের।
বিশ্বজয়ী ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যানও এ বার জানালেন এ ভাবে বিশ্বকাপ জয়ের মধ্যে তিনি কৃতিত্বের কিছু দেখছেন না। সবাই জানে, নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ দল কাপ জয়ের এত কাছে এসেও খালি হাতে ফিরতে হওয়ায় মারাত্মক হতাশ। বোল্ট যেমন বলেছেন ‘‘২০১৫ সালেও আমরা ফাইনালে খেলেছিলাম। কিন্তু সে বারের হার নিয়ে টিমের মধ্যে কোনও হতাশা ছিল না। দলের সবাই জানত, আমরা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কার্যত দাঁড়াতে পারিনি। হেরেছিলাম সব বিভাগে। কিন্তু এ বার লর্ডসে যেটা হল, সেটা মানা খুব কঠিন। সত্যি কথা বলতে মানতে পারছি না। টিমের প্রত্যেকের এ ভাবে কাপ হাতছাড়া হওয়া মেনে নিতে অনেক-অনেক বছর লেগে যাবে।’’
মর্গ্যান বলেছেন, ‘‘আমি মনে করি না একটা টুর্নামেন্টের ফাইনালের মীমাংসা এ ভাবে করা ঠিক। আসলে তো আমাদের দু’দলের মধ্যে কোনও ফারাক ছিল না। আমি সোজাসাপ্টা কথা বলতে ভালবাসি। জানি না এটাকে কে কী ভাবে নেবে। তবু আমি বলবই যে, আসলে দু’টো দল সমানে সমানে খেলা শেষ করেছিল। এটাই শেষ কথা। আর ম্যাচে আমি খেলেছি। কোথায়, কী হয়েছে সব জানি।’’
নিউজিল্যান্ডের কোচ গ্যারি স্টিড রাখঢাক না করে দাবি করেছেন, শুধু মাত্র বেশি বাউন্ডারি মারার জন্য একটা দলকে চ্যাম্পিয়ন করার মতো নিয়ম বদলের আলোচনা ডাকুক আইসিসি। ওয়াসিম আক্রমের মতো কেউ কেউ অবশ্য বলেছেন, এ ভাবে হার হজম করা কঠিন হলেও টুর্নামেন্টের সব দলই যাবতীয় নিয়ম জেনে খেলতে নেমেছিল। কিন্তু তার পরেও ইংল্যান্ডের জয়ের অন্যতম নায়ক বেন স্টোকস কিন্তু জানিয়েছেন, এ ভাবে জয়ের পরে যত বার দেখা হবে, তত বার তাঁকে উইলিয়ামসনের কাছে দুঃখপ্রকাশ করতে হবে।