কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে রেলের বিভিন্ন বিভাগ ও পরিষেবা ধীরে ধীরে বেসরকারিকরণের ফলে ক্ষুব্ধ রেলের কর্মচারীরা। এ ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদী সরকারের পরিকল্পনার প্রতিবাদে রেলের কর্মচারীরা প্রতিবাদে সরব হলেন।
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের সমস্ত জোন, ডিভিশন, প্রোডাকশন ইউনিটের অফিসে মধ্যহ্নভোজের বিরতিতে এক ঘন্টা ধরে বিক্ষোভ দেখান কর্মচারীর একাংশ। বিক্ষোভ হলেও কর্মী পরিষেবায় কোনও বিঘ্ন ঘটেনি বলে রেল সূত্রের খবর। এই কর্মসূচীর ডাক দিয়েছিল অল ইন্ডিয়া এসসি-এসটি রেলওয়েজ অ্যাসোসিয়েশন। এই কর্মসূচীকে ঘিরে কর্তৃপক্ষ আগাম সতর্কতা অবলম্বন করেছিল বলে রেল সূত্রের খবর।
বাস্তবের মাটিতে পা না রেখে সরকার শুধু স্বপ্ন বিক্রি করছে – রেলের বেসরকারিকরণ নিয়ে এই মুহূর্তে এমনই দাবি দেশের বিরোধীদের। এই অভিযোগও উঠছে যে, বুলেট ট্রেন প্রকল্প নিয়েও দেশবাসীকে ধোঁকা দিয়েছে মোদী সরকার। এমনই একঝাঁক সমালোচনার তিরে বিদ্ধ হয়ে সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে জবাবি বক্তৃতায় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল স্বীকার করে নেন, রেলের হাতে বাড়তি অর্থ নেই বললেই চলে। কর্মীদের সপ্তম বেতন কমিশনের বর্ধিত ভাতা ও পেনশন দিতে গিয়ে রেলের অপারেটিং রেশিও এখন প্রায় ৯৮ শতাংশ। অর্থাৎ একশো টাকা আয় করতে খরচ হচ্ছে ৯৮ টাকা। তাই বাধ্য হয়েই কেন্দ্র সরকারের এই বেসরকারিকরণ।