১৯৬৯ সালে কমনওয়েলথ টিটি বোর্ড গঠন হয়েছিল। তবে চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হয়েছিল ১৯৭১ সাল থেকে। তারপর থেকে এ বার নিয়ে ২১ বার এই চ্যাম্পিয়নশিপ হল। ভারতের ছেলেরা আগে চ্যাম্পিয়ন হলেও মেয়েরা এই প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হল। কমনওয়েলথ টেবল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষটা ভারতের কাছেও সোনার অক্ষরে লেখা হল। ছেলে ও মেয়েদের দলগত বিভাগে জোড়া সোনা পেল ভারত। গত বছর গোল্ড কোস্টে কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের ছেলে ও মেয়েরা দলগত বিভাগে সোনা পেয়েছিল, কিন্তু কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপে এই প্রথম জোড়া খেতাব পেল ভারত।
এই প্রতিযোগিতায় ইংল্যান্ড এবং সিঙ্গাপুর যথেষ্ট শক্তিশালী দল। বেশ কয়েকবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। ইংল্যান্ডকে হারাতে গিয়ে তাই দু’বার ঠোক্কর খেতে হল শরৎ কমলদের। শরৎ তো একটি সেটে হারলেনই, হারলেন সাথিয়ানও। প্রথম দুটি সেটে হেরে যাওয়ার পর যখন ভারতের ছেলেরা চাপে, তখনই ঘুরে দাঁড়িয়ে পরপর ম্যাচ জিতলেন হরমিত দেশাই, শরৎ এবং সাথিয়ান। মেয়েদের অবশ্য সেই অর্থে লড়তেই হল না। অর্চনা কামাথ, মনিকা বাত্রা, মাধুরিকা পাটেকার পরপর জিতলেন। দাঁড়াতেই দিলেন না ব্রিটিশ দলকে। কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেননি হো টিন টিন, এমিসি বোল্টনরা।
ভারতের এই টিমের অন্যতম কোচ বাংলার সৌম্যদীপ রায়। শুক্রবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কটক থেকে ফোনে তিনি বলছিলেন, ‘আমার কাছে এই চ্যাম্পিয়নশিপ এক অদ্ভুত ভালো লাগার অনুভূতির। ২০০৪ সালে কুয়ালা লামপুরে ভারত যখন প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়, তখন আমি ছিলাম খেলোয়াড়। ১৫ বছর পর ভারত আবার যখন চ্যাম্পিয়ন হল, তখন আমি কোচ।’ মেয়েদের টিমের অন্যতম সদস্য সুতীর্থা ফোনে বলছিলেন, ‘সিঙ্গাপুর ম্যাচটা নিয়ে আমরা একটু চাপে ছিলাম। ওই ম্যাচ অনায়াসে জিতে যাওয়ার পর আমরা নিশ্চিত হয়ে যাই ট্রফিটা পাচ্ছিই। এই জয় আমাদের সমানে সিঙ্গলস ও ডাবলসে সোনা জেতার আত্মবিশ্বাস যোগাবে।’