আগে থেকে ঠিক ছিল, আজ, শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজগামী দল বেছে নেওয়া হবে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা আগে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমএসকে প্রসাদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিটি শনিবার বা রবিবার ক্যারিবিয়ান সফরের জন্য দল বাছার জন্য বসবেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ভারত খেলবে তিনটি টি টোয়েন্টি, তিনটি ওয়ানডে ও দু’টি টেস্ট ম্যাচ। এই সফর শুরু হবে ৩ অগস্ট থেকে। চলবে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
বোর্ড সূত্রের খবর, লোঢা কমিটির সুপারিশ মেনে এ বার থেকে নির্বাচনী বৈঠকে আর সচিব বা বোর্ড প্রতিনিধিদের ছড়ি ঘোরাতে দেওয়া হবে না। এত দিন বোর্ড সচিব হতেন সভার আহ্বায়ক। লোঢা সুপারিশে এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, কারণ সভায় উপস্থিত থেকে নির্বাচনী বৈঠককে প্রভাবিত করতে পারেন সচিব বা বোর্ড প্রতিনিধি। অতীতে সেই প্রভাব বিস্তারের একাধিক উদাহরণও দেখা গিয়েছে। লোঢা সুপারিশ মেনে তাই এ বার থেকে নির্বাচনী বৈঠকের আহ্বায়ক করা হচ্ছে নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যানকেই। যার ফলে, বোর্ড কর্তাদের ক্ষমতা আরও খর্ব হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আরও জানা গিয়েছে, সিওএ-র এই নির্দেশের পরে বোর্ড কর্তাদের কেউ কেউ যুদ্ধং দেহি মনোভাব দেখাচ্ছেন। বোর্ড মহলের খবর, এই পরিবর্তন করতে গিয়েই কিছু আইনগত জটিলতা দেখা দিয়েছে। সেই কারণেই বৈঠক পিছোতে হচ্ছে।
ঠিক কবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দল বাছার জন্য বসবেন নির্বাচকেরা, তা এখনও জানায়নি বোর্ড। অনুমান করা হচ্ছে, শনি বা রবিবার হতে পারে। কিন্তু যে দিনই সেই নির্বাচন হোক, বিশ্বকাপ পরবর্তী জীবনে নতুন প্রজন্মকে তুলে আনার বিষয় সেখানে সর্বাধিক গুরুত্ব পেতে চলেছে। ম্যাঞ্চেস্টারে নিউজ়িল্যান্ডের কাছে হারের পরে বিরাট কোহালিদের দলের মধ্যে যে রকম আলোচনা হয়েছে, তাতেও নতুন মুখ তুলে আনার প্রসঙ্গ প্রাধান্য পেয়েছে। তার কারণ, আগামী তিন বছরে দু’টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে হবে ভারতকে। একটি, সামনের বছরেই অস্ট্রেলিয়ায়, তার পরের বছরেরই শেষের দিকে আবার ভারতে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি তুলে দিয়ে কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপ করতে চাইছে আইসিসি। সেই টুর্নামেন্ট ২০২২-এর শেষের দিকে হওয়ার কথা ভারতে। এই দু’টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধোনির মতো আটত্রিশের মধ্যবয়স্ক নয়, পন্থের মতো চনমনে তরুণ চাই।
ভারতীয় ক্রিকেট যাঁদের হাতে এই মুহূর্তে পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের গরিষ্ঠ অংশের কাছে ধোনি নন, পন্থই ভবিষ্যৎ। বিশ্বকাপ পরবর্তী নকশা সে রকম ভাবনা নিয়েই তৈরি করা হচ্ছে। এঁদের মতে, ধোনির রাজকীয় বিদায় প্রাপ্য সন্দেহ নেই। তার জন্য ফেয়ারওয়েল ম্যাচ বা সিরিজেরও আয়োজন করা যেতে পারে ঘরের মাঠে। কিন্তু এর পরেও খেলা চালিয়ে গেলে ভারতের অনেকে কিংবদন্তির মতো নিন্দিত উদাহরণই হয়ে থাকবেন। জোর করে না সরালে যাঁরা যেতে চাননি ক্রিকেট ময়দান ছেড়ে।