নব্বইয়ের দশকে যারা জন্মেছেন তাঁদের কাছে ছোটবেলার নস্ট্যালজিয়া লায়ন কিং। ১৯৯৪ সালে মুক্তি পাওয়া এই অ্যনিমেটেড ছবি সেসময় সাড়া ফেলে দিয়েছিল। ছবির কাহিনী একই রেখে বর্তমান যুগের সঙ্গে ঝাঁ চকচকে অ্যানিমেশনে গল্প গেঁথেছেন পরিচালক জন। মানে বলা ভালো, ওল্ড ওয়াইন ইন অ্যা নিউ বটল”। একুশ শতকের বর্তমান প্রজন্মের দর্শকদের কাছে জায়গা করে নেওয়াই ছিল প্রথম চ্যালেঞ্জ। সেই সঙ্গে পুরনো লায়ন কিং যারা দেখেছেন, তাদের সন্তুষ্ট করাও ছিল লক্ষ্য।
লায়ন কিংয়ের ২০১৯ এর চিত্রনাট্যকার জেফ ন্যাথানন্স অবশ্য দুই প্রজন্মের মুখেই হাসি ফোটাতে পারলেন। আফ্রিকার জঙ্গল, সেখানকার প্রকৃতি ও পশুদের জীবনযুদ্ধ, এটাই মূল গল্প। সেখানে সিংহশাবক সিম্বা কীভাবে জঙ্গলের রাজা হয়ে উঠবেন সেই গল্পই তুলে ধরা হয়েছে। ছবির সেরা সম্পদ ভিস্যুয়াল এফেক্ট। জেমস ক্যামেরনের অবতার সিনেমার পর এই ছবি দীর্ঘদিন পর ভিস্যুয়াল এফেক্টের মন কাড়ল। আফ্রিকার জঙ্গল, জন্তু, জানোয়ার, সিম্বার বেড়ে ওঠা, ফ্রেম বাই ফ্রেমের ভিস্যুয়াল এফেক্টই কাল্পনিক গল্পকে একেবারে বাস্তবে পরিণত করেছে। অন্যদিকে স্টোরি টেলিংয়ের আরও এক সম্পদ ছবির মিউজিক। সাধারণ মানুষ ট্রেলার দেখার পর থেকেই উচ্ছ্বসিত ছিলেন। ফার্স্ট শো দেখেও স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত দর্শক।
শুরুতেই বক্স অফিসে ঝড় তুলতে প্রস্তুত ডিজনি ক্লাসিক ‘দ্য লায়ন কিং’। ভারত সহ গোটা বিশ্বে ১৯ জুলাই মুক্তি পেতে চলেছে দ্য লায়ন কিং। চিনে ইতোমধ্যে মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। তিন দিনে ৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যবসা করেছে দ্য লায়ন কিং। ট্রেড অ্যানালিস্টদের অনুমান প্রথম উইকএন্ডে লায়ন কিং-এর বক্স অফিস কালেকশন ছাড়াবে ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশেষজ্ঞদের মত ২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া বিউটি অ্য়ান্ড দ্য বিস্ট-এর ১৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসা ছুঁয়ে ফেলবে দ্য লায়ন কিং। ২৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে তৈরি দ্য লায়ন কিং-এর রিমেক সারা বিশ্বে ব্যবসা করতে পারে আনুমানিক ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। এমনটা হলে এই ছবিই হবে এখনও পর্যন্ত ডিজনি রিমেকের সর্বোচ্চ বক্স অফিস রেকর্ড।