৭ দফায় বঙ্গে শেষ হয়ে যাবে তৃণমূল। এই ছিল বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের হুঁশিয়ারি। কিন্তু মুকুলের সেই হুঁশিয়ারির পর সময় গড়িয়েছে কিন্তু দফা আর এগোয়নি। বরং তৃণমূল ভাঙিয়ে মুকুল রায় যে কাউন্সিলরদের বিজেপিতে এনেছিলেন, তাঁদের অনেকেই দলকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে পুরনো দলে ফিরে যেতে শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরের বিড়ম্বনা আরও বাড়িয়ে দিল চার কাউন্সিলরের অন্তর্ধান।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়লাভের পর গেরুয়া শিবিরে যোগদানের হিড়িক পড়েছিল। সেই ট্রেন্ডে গা ভাসিয়েই দিল্লীতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন নৈহাটি পুরসভার ১৭ জন কাউন্সিলর। অভিযোগ উঠেছে, বিজেপিতে যোগ দেওয়া শাসক দলের ১৭ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৪ জন বুধবার থেকে বেপাত্তা! শোনা যাচ্ছে পুরনো দলেই ফিরে যেতে চান তাঁরা। বিশেষ সূত্রে খবর, ওই চারজন কাউন্সিলর হলেন, বেলা বিশ্বাস, অঞ্জনা সেনগুপ্ত, রুবি চট্টোপাধ্যায়, রীনা সুতার।
গতকাল কাউন্সিলর রুবি চট্টোপাধ্যায়ের খোঁজ নিতে গেলে তাঁর দেখা মেলেনি। তাঁর পরিবারের সদস্যরা বলেন, ‘তিনি বুধবার বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন। কিন্তু কোথায় গিয়েছেন তা বলে যাননি।’ নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, তৃণমূলের ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েই ওই চারজন নৈহাটি ছেড়ে অন্যত্র আত্মগোপন করে রয়েছেন। পরিস্থিতি বুঝেই তাঁরা তৃণমূলে ফিরবেন। আপাতত চারজনের মধ্যে দু’জন বকখালি এবং দু’জন মন্দারমনিতে ছুটি কাটাচ্ছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে আরও খবর, বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরতে পারেন আরও চারজন কাউন্সিলর। উল্লেখ্য, নৈহাটি পুরসভায় মোট ওয়ার্ড ৩১টি। যদি ওই চারজন তৃণমূলে ফিরে আসেন, তাহলে শাসকদলের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৭। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাবি, কাঁচড়াপাড়া, হালিশহরের মতোই নৈহাটি পুরবোর্ড তাঁদের দখলে আসবে। কাউকে জোর করে আনা হচ্ছে না। ঘরের লোক ঘরে ফিরতে চাইছেন। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।