মহানগরীর অলিগলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এমন অনেক মানুষের গল্প, যাদের খালি পায়ের পাতায় কেবল ধুলো জমে, কঠোর হাত দুটো রিকশা টানে। কিংবা হয়তো কলকাতার অলিতে গলিতে মুটে বয়। হাতে টানা রিকশাতে যাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েই জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু অটো, ই-রিকশার দৌলতে পসার একেবারেই কম। সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনির শেষে দুবেলা দুমুঠো খেতে না পেলে কি আর স্বাস্থ্য ঠিক থাকে? কিন্তু দুর্মূল্যের এই বাজারে যৎসামান্য আয়ে পেট ভরে খাবার মিলবে কোথায়? রাস্তার ধারে ত্রিপলের ছাউনির তলায় অস্থায়ী হোটেলেও সবজি ভাত খেতে হলে খসাতে হবে কড়কড়ে চারটি দশ টাকার নোট। দৈনিক আয়ের যেখানে ঠিকঠিকানা নেই, সেখানে একবেলা একার খাওয়ার জন্যেই কি আর অতগুলো টাকা খরচ করা যায়! ফলে অর্ধেক দিনই আধপেটা, বা না খেয়েই থাকতে হয় তাঁদের।
এবার কলকাতার অলিতে গলিতে ছিটিয়ে থাকা হাজার খেটে খাওয়া মানুষের জন্য নতুন এক ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে কলকাতা পুরনিগম। মাত্র ৬ টাকার বিনিময়েই এবার আর্থিকভাবে পিছিয়ে পরা মানুষদের পেটপুরে খাওয়ার বন্দোবস্ত করতে চলেছে কেএমসি। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতার মেয়র পারিষদ তারক সিং। খুব তাড়াতাড়ি এই ব্যবস্থা চালু হবে বলেও জানান তিনি।
পুরনিগমের তরফ থেকে জানানো হয়েছে আপাতত, ছ’টাকার বিনিময়ে ভাত, ডাল ও একটি সবজি তরকারি পাওয়া যাবে। ওই দুটি স্থানে দুটি ফুড ট্রাক থেকে ওই খাবার মিলবে। আপাতত এই স্বল্পমূল্যে খাবারের ব্যবস্থা কলকাতার দুটি জায়গায় শুরু করা হবে। একটি গার্ডেনরিচ ফ্লাইওভারের নীচে ও অন্যটি কোনও একটি সরকারি হাসপাতালে।