লাভে চলা বেঙ্গল কেমিক্যালসের কেন বিলগ্নীকরণ করা হবে? এর প্রতিবাদে সংসদের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসবেন কোম্পানির কর্মীরা। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বড়সড় আন্দোলনেও নামছেন তাঁরা। বিলগ্নীকরণের হাত থেকে বেঙ্গল কেমিক্যালসকে বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ চেয়েছে কর্মী সংগঠনগুলি।
আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় প্রতিষ্ঠিত এই বেঙ্গল কেমিক্যালস। আধিকারিক, কর্মী, মাইক্রো বায়োলজিস্টদের নিরলস পরিশ্রমে গত তিন বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠান লাভ করে চলেছে। ২০১৮-১৯ সালে বেঙ্গল কেমিক্যালস নিট মুনাফা করেছিল ২৫.২৬ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ সালে করে ১০.০৬ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭-তে এর পরিমাণ ছিল ৪.০৫ কোটি টাকা। নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে বেঙ্গল কেমিক্যালস। কেন্দ্রীয় সরকার থেকে কোনও অর্থসাহায্য তারা নেয় না। কর্মীদের বেতন-সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সংস্থাই দেয়। এখন বেঙ্গল কেমিক্যালসে ৪০০ কর্মী আছেন। কিন্তু কেন্দ্রের নতুন বেতনক্রম অনুযায়ী তাঁদের বেতন বাড়েনি। পুরনো হারেই বেতন পাচ্ছেন কর্মীরা।
বেঙ্গল কেমিক্যালসকে সাহায্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সব কর্মচারী সংগঠন আবেদন করেছে। তাঁদের অনুরোধ, রাজ্য সরকার বেঙ্গল কেমিক্যালসের পণ্য কিনুক। তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড, বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ এখন কিনছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপক শ্যামল চক্রবর্তী এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপকরা বেঙ্গল কেমিক্যালসের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ চান পানিহাটিতে প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের বাড়িটি সংরক্ষিত হোক। সেখানে তাঁর ব্যবহৃত আলমারি, চেয়ার, টেবল রয়েছে। পূর্বাঞ্চলে এত অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি শুধু বেঙ্গল কেমিক্যালসেই রয়েছে। বেঙ্গল কেমিক্যালসের কর্মীদের কথায়, ‘আমরা কিছুতেই বিলগ্নীকরণ করতে দেব না। এটি একটি লাভজনক সংস্থা। পানিহাটির জমি নিয়ে মামলা হয়েছে। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে এই সংস্থা লাভের মুখ দেখেছে। তিনি অভিযোগ করেন, ওষুধের একটি দামের তালিকা কেন্দ্রীয় সরকার তৈরি করে। গত ২০১৮ সালের ডিসেম্বরেই তার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এখনও নতুন তালিকা বেরোয়নি।’