এবারের ২১ জুলাইয়ের জনসভা পড়েছে রবিবার। রবিবার-সহ ছুটির দিনগুলিতে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় একমুখী ট্র্যাফিক তুলে দেওয়া হয়। ওই সমস্ত রাস্তা দিয়ে ছুটির দিনে যান চলাচল হয় দ্বিমুখী ট্র্যাফিক ব্যাবস্থার মাধ্যমে। কিন্তু আগামী রবিবার যানজটের কারণে সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন রাস্তায় একমুখী ট্র্যাফিক ব্যবস্থায় গাড়ি সচল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার কর্তৃপক্ষ।
লালবাজারের এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, “২১ জুলাই ছুটির দিন হলেও ওই সমস্ত রাস্তা দিয়ে দ্বিমুখী ট্র্যাফিক যান চলাচল করতে দিলে যানজটের আশঙ্কা থেকেই যায়। তাই একমুখী ট্র্যাফিকের এই সিদ্ধান্ত”। রাস্তা গুলি হল আমহার্স্ট স্ট্রিট, কলেজ স্ট্রিট, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, বিধান সরনী, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরনী এবং নিউ সি আই টি রোড।
একইসঙ্গে কোন কোন রাস্তায় ধর্মতলামুখী গাড়ি গুলি পার্কিং করা হবে তাও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে পুলিশ। সেই সঙ্গে এদিন সকাল থেকে শহরে ঢোকা চারটি জায়গায় জেলা পুলিশের সঙ্গে যৌথ ক্যাম্প করছে কলকাতা পুলিশ। যানজট সামাল দিতে রবিবার ভোড় থেকেই শহরের রাস্তায় নামছেন প্রায় পাঁচ হাজার পুলিশকর্মী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আসা হবে ওল্ড কোর্ট হাউস এবং ওয়াটার লু স্ট্রিট ধরে। জনসভার ওপর আকাশপথে সর্বক্ষণ নজর রাখবে কলকাতা পুলিশের আকাশযান দুর্দান্ত।
দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, হাওড়া থেকে আসা গাড়িগুলিকে পাঠানো হবে দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে। অন্যদিকে হুগলি, বর্ধমান, থেকে আসা গাড়িগুলি পাঠানো হবে নিবেদিতা সেতু ধরে। নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগণা থেকে আসা বিভিন্ন গাড়ি ধর্মতলায় আসবে শ্যামবাজার এবং উলটোডাঙা এবং ডোমজুড়ের নিবড়ায় জেলা পুলিশের সঙ্গে যৌথ ক্যাম্প করবে কলকাতা পুলিশ। শহরের দশটি মেট্রো স্টেশনের ওপর নজর রাখবে পুলিশ এ ছাড়াও থাকছে পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দল এবং অ্যাম্বুল্যান্সও।