বিশ্বকাপে চেনা ছন্দে ছিলেন না মহেন্দ্র সিং ধোনি। প্রতি ম্যাচে তিনি যেভাবে ডট বল খেলছিলেন তাতে করে চিন্তা বাড়ছিল সবার। যদিও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে শেষ অবধি লড়ে গেছিলেন ধোনিই, কিন্তু তবুও গোটা টুর্নামেন্টে আগের দাপট দেখাতে পারেননি মাহি। শোনা যাচ্ছিল এটাই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। যদিও অবসর নিয়ে তিনি কিছুই বলেননি। তবে জল্পনা ছিলই আর সেই জল্পনাকে আরও বাড়িয়ে দিলেন ধোনি নিজেই। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে নিজেই নিজেকে সরিয়ে নিলেন মাহি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দেখা যাবে না প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে। ক্যারিবিয়ান সফর থেকে ধোনি নাকি নিজেই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। তিনি এখন আর দেশের এক নম্বর উইকেটরক্ষকও নন বলেও দাবি করা হয়েছে এক রিপোর্টে। সেই প্রতিবেদনে বোর্ডের একটি সূত্রের মন্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাচ্ছেন না (এমএস) ধোনি। প্রথম পছন্দের উইকেটকিপার হিসেবে দেশের ভিতরে ও বিদেশের মাটিতে দলের সঙ্গে আর যাবেন না ধোনি।’’
ধোনিকে নিয়ে প্রায় প্রতি দিন খবর প্রকাশিত হলেও, তিনি নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। ধোনি চুপ করে থাকলেও বিশ্বজয়ী অধিনায়ককে নিয়ে জল্পনা কিন্তু থেমে নেই। বিশ্বকাপের বহু আগে থেকে ধোনির দিকে উড়ে আসতে থাকে অবসর নিয়ে একের পর এক তেতো প্রশ্ন। সে সব প্রশ্ন কখনও ‘ডাক’ করেছেন ধোনি। আবার কখনও ‘হেলিকপ্টার শট’ মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পরে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালিকে ধোনির অবসর নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। কোহালি সে সময়ে জানিয়েছিলেন, তাঁকে বা টিম ম্যানেজমেন্টকে অবসর নিয়ে কিছুই জানাননি ধোনি।
ধোনি সরে যাওয়ায় ক্রিস গেলের দেশে উইকেটের পিছনে দাঁড়ানোর ব্যাপারে এগিয়ে ঋষভ পন্থই। চলতি মাসের ১৯ তারিখ মুম্বইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য দল বাছতে বসবেন নির্বাচকরা। ধোনিকে নিয়ে ছবিটা তখনই পরিষ্কার হয়ে যাবে। সেই প্রতিবেদনে বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, “ধোনি আমাদের এখনও কিছুই জানাননি। ক্রিকেটার ও নির্বাচকের মধ্যে এ ক্ষেত্রে কথাবার্তা হওয়াটা জরুরি।’’ সেই বোর্ড কর্তার মতে, বিশ্বকাপে ধোনি ভালই খেলেছেন। তবে খেলা চালিয়ে যাবেন কি না, সে ব্যাপারে ধোনিই সিদ্ধান্ত নেবেন।