এ যেন মগের মুলুক! লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছিল গেরুয়া শিবির। আর এবার হাওড়ায় ফের রাস্তা আটকে হনুমান চালিশা পাঠে মেতে উঠল তারা৷ যার ফলে বিশৃঙ্খলা তো তৈরি হলই। সেইসঙ্গে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল ‘ভক্ত’রা। পুলিশের অভিযোগ, অনুমতি ছাড়া রাস্তা আটকে হনুমান চালিশা পাঠ করেছিলেন বিজেপি সমর্থকরা। বাঁধা দিতে গেলেই গোলযোগের সৃষ্টি হয়।
প্রসঙ্গত, ভোটের ফলপ্রকাশের পরেই গেরুয়া শিবিরের তরফে জানানো হয়েছে, এবার থেকে প্রতি মঙ্গলবারই রাস্তায় রাস্তায় হনুমান চালিশা পাঠ করবেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা৷ কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের হনুমান মন্দিরের সামনে বসেই হনুমান চালিশা পাঠ করবেন তাঁরা৷ সেইমতো, হাওড়ার এসি মার্কেট সংলগ্ন ডবসন রোডে গত দুসপ্তাহ ধরে রাস্তায় হনুমান চালিশা পাঠ করছেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের জন্য আলাদা ব্যারিকেডও করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
কিন্তু এবার সেই ব্যারিকেডকে আমল না দিয়ে বিনা অনুমতিতেই রাস্তা আটকে হনুমান চালিশা পাঠ শুরু করে দিয়েছিলেন বিজেপি কর্মীরা। যার ফলে যানজটে আটকে পড়তে হয় পথচলতিদের৷ পুলিশের অভিযোগ, ‘ভক্ত’দের এ হেন হনুমান চালিশা পাঠের জেরে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছিল। বিজেপি কর্মীদের উঠে যাওয়ার অনুরোধও করেছিল পুলিশ। কিন্তু তাঁরা সাড়া দেননি বলেও অভিযোগ। বরং এরপরই পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু করে দেন তাঁরা।
এ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। আবারও পুলিশের গায়ে হাত তোলায় বিজেপির নিন্দায় সরব তৃণমূল-সহ বাংলার গোটা রাজনৈতিক মহল। উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের আগে থেকেই পুলিশকে নিশানা করে আসছে গেরুয়া শিবির। কখনও দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসু, কখনও আবার বাবুল সুপ্রিয়, ভারতী ঘোষরা, বারবারই পুলিশকে চমকে-ধমকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছেন গেরুয়া শিবিরের ‘রত্ন’রা। সেই ধারাই এবার বজায় রইল হাওড়ায়।