গত সপ্তাহেই পুরসভা থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, উত্তর কলকাতার নির্মীয়মাণ পোস্তা উড়ালপুলের বিপজ্জনক অংশ ভেঙে ফেলা হবে। কিন্তু সেটা আর হয়নি। বিশেষ কারণ বশতঃ সেই কাজ পিছিয়ে দেওয়া হয়। এবার পুনরায় সেই অংশ ভেঙে ফেলতে টেন্ডার ডাকল কেএমডিএ। তিন সপ্তাহের মধ্যে ওই উড়ালপুল ভেঙে ফেলতে হবে। রাত দশটা থেকে ভোর ছ’টা পর্যন্ত ভাঙতে পারবে টেন্ডার গ্রাহকরা। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এর আগেই জানিয়েছিলেন, পোস্তা উড়ালপুলের দুর্বল অংশ ভেঙে ফেলে নতুন করে তৈরি করবে কেএমডিএ। সেইমতো রাজ্য সরকারের কাছ থেকে সবুজ সংকেত আসতেই ভাঙার কাজ শুরু করে দিয়েছে কেএমডিএ।
জানা গেছে, পুজোর আগেই নতুন করে নির্মাণ শুরু করতে চায় রাজ্য সরকার। রাইটস ও বিশেষজ্ঞদের দিয়ে অবশিষ্ট নির্মাণ পরীক্ষার পর ভেঙে ফেলা অংশে নতুন করে কাজ শুরু হবে। আগামী বছর পুজোর আগেই এই কাজ সম্পূর্ণ করার টার্গেট নিয়েছে কেএমডিএ। নতুন উড়ালপুলটি চালু হলে উত্তর কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশের যানজট কমে যাবে। বাম আমলে পোস্তার এই উড়ালপুল তৈরির কাজ শুরু হলেও পরিকল্পনায় ত্রুটি ছিল বলে অভিযোগ।
এইমাসের গোড়ার দিকে পোস্তার বিবেকানন্দ উড়ালপুল ভেঙে ফেলার খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। সেদিন রাত আটটা থেকে ভাঙার কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে গোটা সেতুটা ভেঙে ফেলা হবে না বলেই জানানো হয়েছিল। সিদ্ধান্ত হয়, আপাতত বিপজ্জনক অংশই ভাঙা হবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বদল হয় সিদ্ধান্তের। ঠিক হয়, আগামী ১০ জুলাই কলকাতা পুরসভা, কলকাতা পুলিশ এবং কেএমডিএ একসঙ্গে ঘটনাস্থলে যাবে। তারপরেই জানা যাবে কবে থেকে ভাঙা হবে। সেই মতো আজ প্রকাশ্যে আসে সেতু ভাঙার খবর। জানা যায়, তিন সপ্তাহের মধ্যে উড়ালপুল ভাঙা হবে বলে খবর।
২০১৬ সালের ৩১ মার্চ দুপুরে পোস্তার নির্মীয়মাণ বিবেকানন্দ সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় নবান্নে। রাজ্য সরকারকে তাঁরা যে রিপোর্ট পেশ করেছিলেন, তাতে বলা হয়েছিল, পোস্তার বিবেকানন্দ উড়ালপুলের ভেঙে পড়া অংশ বাদে বাকি অংশও ভেঙে ফেলতে হবে বলে। রাজ্যের হাই পাওয়ার্ড কমিটিকে এই রিপোর্ট পেশ করে রাইটসও৷ সেই রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়, নকশায় ত্রুটি ছিল৷ অবশেষে সব নকশা পাল্টে ফেলে আবার নতুন করে কাজ শুরু করতে চলেছে মমতার সরকার।