ব্যাটে-বলে অনবদ্য এক রূপকারের গল্প এখন বিশ্ব খ্যাত। যাঁর হাত ধরেই প্রথমবারের জন্য বিশ্বকাপের স্বাদ পেয়েছেন রানীর দেশ। একটু একটু করে নিজের ইনিংস তৈরি করে শেষ বল পর্যন্ত ম্যাচের রাশ ধরে রেখেছিলেন। কথা হচ্ছে ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার বেন স্টোকসের। বোলার হিসেবে নিজের ক্রিকেট জীবন শুরু করলেও ধীরে ধীরে নিজেকে ব্যাটসম্যান হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। হয়ে উঠেছেন বিশ্বের অন্যতম অলরাউন্ডার। আবার নিজের ব্যাটিংয়ের জন্য ইংল্যান্ডের ভরসা হয়ে উঠেছেন স্টোকস।
তবে এর জীবনেও আছে বহু চড়াই-উৎরাই লেগেই আছে। চোটের কারণে বরাবর বাদ পড়েছে দল থেকে। হার না মেনে আবার ফিরে এসেছে। প্রমাণ করেছেন তাঁর বিকল্প আর কেউ নেই। এমনকি বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে নিজের স্থান পাকা করে নিয়েছেন তিনি। ইংল্যান্ড বহু ম্যাচ তাঁর কাঁধে ভর করে উৎরে গেছে।
তাঁর ক্রিকেট জীবন বারবার খাদের কিনারে এসেছে। দল থেকে বাদ পড়েছে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে। হাতের কব্জি ভেঙে যাওয়ায় বাদ পড়েন ২০১৪ এর টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে। আবার দলে ফিরে আসেন কিন্তু বেশিদিন দলে থাকতে পারেন নি। পরের বছরই খারাপ পারফরম্যান্স-এর জন্য দল থেকে বাদ পড়েন। খেলা হয়নি ২০১৫ বিশ্বকাপ।
২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনাল মনে থাকবে সবার। শেষ ওভারে তাঁর ওভারে ৪ টি ছয় মেরে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কার্লোস ব্রেথওয়েট। ২০১৭ এর চ্যাম্পিয়ন ট্রফির সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খুব একটা ভালো ফলাফল ছিল না তাঁর। ব্যাট হাতে ও বল হাতে ব্যর্থ হন তিনি। ইংল্যান্ডও সেই ম্যাচ জেতে নি।
কিন্তু এই ব্যর্থতা তিনি কাটিয়ে উঠেছেন বারবার। নিজেকে প্ৰমাণ করেছেন। ফিরে এসেছেন খেলার মাঠে। ইংল্যান্ডকে সাফল্য এনে দিয়েছেন তিনি। আর তাঁর হাত ধরে শেষ সাফল্য এসেছে ২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে। তাঁর ৮৪ রানের ইনিংস শুধু তাঁকে ম্যাচের সেরা করেননি, ইংল্যান্ডকেও সাফল্য এনে দিয়েছে। আর দেখিয়ে দিলেন এভাবেও ফিরে আসা যায়…