বনগাঁয় আস্থা ভোট নিয়ে চাপান উত্তোর চলছেই কয়েকদিন ধরে। আর এই উত্তপ্ত আবহের মধ্যেই আজ হয়ে গেল এই আস্থা ভোটের কর্ম-যজ্ঞ। সেখানে বনগাঁ নিজেদের দখলেই রাখল শাসকদল। কিন্তু সেখানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ওঠা প্রশ্নকে জল ঢেলে দিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মঙ্গলবারের আস্থা ভোটে বনগাঁয় পুলিস কোনও বেআইনি কাজ করেনি। এমনই কথা জানালেন মন্ত্রী।
ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘যে সময়ের মধ্যে মিটিংয়ে ঢোকার কথা সেই সময়ের মধ্যে ঢুকতে হবে। নিশ্চিতভাবে ক্রিমিনালদের ওই মিটিংয়ে ঢোকার অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু সেই ক্রিমিনালগুলো ঠিক সময় সেখানে ঢোকেনি। তার পর বলছে পুলিস ঢুকতে দেয়নি। পুলিশ কেন ঢুকতে দেবে না? পুলিশ যদি ঢুকতে দেবে না তাহলে তো ক্রিমিনালগুলোকে অ্যারেস্ট করবে। পুলিস তো তা করেনি। আদালত ওদের রক্ষাকবচ দিয়েছে। এখন নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা।’
প্রসঙ্গত, আজকের এই আস্থা ভোটে বেলা ৩টেয় নির্ধারিত সময় পুরসভায় পৌঁছতে পারেননি বিজেপির কাউন্সিলররা। তার পর ১৫ মিনিট নিয়ম মেনে অপেক্ষা করা হয়। তার পরও দেখা মেলেনি বিজেপি কাউন্সিলরদের। এর পর নিয়ম মেনে শুরু হয় ভোটপ্রক্রিয়া। তাতে ১০ – ০ ভোটে খারিজ হয় অনাস্থা প্রস্তাব। তৃণমূলের ৯ জন ছাড়াও প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেন ১ কংগ্রেস কাউন্সিলর। এমনই দাবি তৃণমূলের।