বিজেপির অন্দরে কান পাতলেই মুকুল-দিলীপের ‘মধুর’ সম্পর্কের কথা শোনা যায়। এবার সেই সম্পর্কের ফাটল আরও বাড়ল।
রাজ্য বিজেপিতে ডানা ছাঁটা হল মুকুল রায়ের। সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, দিলীপ ঘোষের অনুমতি ছাড়া কাউকেই বিজেপিতে যোগদান করানো যাবে না। অন্য দল থেকে কাউকে যোগদান করালে দিল্লী নয়, রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে করাতে হবে।বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘অন্য দল থেকে কেউ বিজেপিতে যোগ দিতে চাইলে আগে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অনুমতি লাগবে। দিলীপের অনুমতি ছাড়া যোগদান করানো হবে না’।
বঙ্গ বিজেপির এমন নির্দেশিকা ঘিরে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, গেরুয়া শিবিরের অন্দরে মুকুল রায়কে কোনঠাসা করার প্রক্রিয়া শুরু হল। একের পর এক তৃণমূল নেতাদের বিজেপিতে এনে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে রাতারাতি কার্যত ‘ভাল নম্বর’ পেয়ে ক্রমশই মুখের হাসি চওড়া হচ্ছিল মুকুল রায়ের। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই সেই দলত্যাগী নেতারা ফের তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় জোর অস্বস্তিতে পড়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। প্রশ্নের মুখে পড়ে মুকুল রায়ের ভূমিকাও। দলের অস্বস্তি বাড়ানোর জন্য মুকুলকেই কাঠগড়ায় তোলে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। সে কারণেই মুকুলের ডানা ছাঁটা হল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, মুকুলের কাজকর্মে অসন্তুষ্ট ছিল সঙ্ঘ পরিবারও। দলে ‘বেনোজল’ ঢোকানো হচ্ছে জানিয়ে বারবার বার্তা পাঠিয়েছিল তারা। কিন্তু মুকুল সেসবে কর্ণপাত করেননি। এই পরিস্থিতিতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব মুকুলের ডানা ছাঁটতে বাধ্য হল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।