দিন কয়েক আগেই জানা গিয়েছিল যে নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বি.এ ইতিহাসের দ্বিতীয় বর্ষের পাঠ্যসূচীতে জায়গা নিতে চলেছে ভারতে জাতি গড়তে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ভূমিকা! যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছিল দেশের তামাম শিক্ষাবিদদের। আর এবার খোদ এ রাজ্যের হাবড়ার একটি স্কুলে গত ১০ দিন ধরে শিশু-কিশোরদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ উঠল আরএসএসের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে শরীরচর্চা ও জাতীয়তাবাদ শেখানোর আড়ালে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বোনার কাজ চালানো হয়েছে স্কুলে। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে সঙ্ঘের প্রশিক্ষণ শিবিরের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবরার শ্রীনগর হাইস্কুল চত্বরে গত ১০ দিন ধরে স্থানীয় কয়েকজন শিশু-কিশোরকে নিয়ে আরএসএসের প্রশিক্ষণ চলছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ওই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। শ্রীনগর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শুভাশিস সাউ বলেন, ‘আমি আজই স্কুলে এসে প্রথম ঘটনার কথা জানতে পারি। জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি বিষয়টি স্কুলের পরিচালন সমিতিকে জানিয়েছি। আমি এর আগে আরএসএসের এই ধরনের প্রশিক্ষণ সম্পর্কে কিছুই জানতাম না।’
হাবরা পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা নীলিমেশ দাস বলেন, ‘শ্রীনগর হাইস্কুলে আরএসএস প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলে শুনেছি। পুরসভা থেকেও কোনও অনুমতি তারা নেয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিয়েছেন কি না, সেটা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’ বিষয়টি প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক নির্মল ঘোষের মন্তব্য, ‘আরএসএস এই ধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শরীরচর্চার কাজ যেমন করে, তেমনই তার আড়ালে জাতীয়তাবোধের মোড়কে সম্প্রদায় ভিত্তিক বিভেদের বীজ বপন করে শিশু ও কিশোরদের মনে।’