দেরি করে হলেও অবশেষে যেন সম্বিৎ ফিরে পেল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনার ৩ দিন পর, মঙ্গলবার মৃত সজল কাঞ্জিলালের বাড়িতে গেলেন কলকাতা মেট্রোর সিপিআরও ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ মেট্রোর পদস্থ কর্তারা। কথা বললেন পরিবারের লোকেদের সঙ্গে। মৃতের পরিবারের অবশ্য দাবি, কীভাবে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল, সেটার সদুত্তর পাননি তাঁরা। এমনকি ক্ষতিপূরণ নিয়ে ইতিবাচক কোন আশ্বাসও দেননি মেট্রোকর্তারা।
গত শনিবার পার্ক স্ট্রীট মেট্রো স্টেশনে মেট্রোয় উঠতে গিয়ে দরজায় হাত আটকে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন কসবার সজল কুমার কাঞ্জিলাল। শেষপর্যন্ত লাইনে পড়ে গিয়ে মারা যান তিনি। সেদিন রাতেই মৃতের বাড়িতে যান স্থানীয় বিধায়ক জাভেদ খান ও দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ মালা রায়। ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে রাজ্য সরকারের তরফে পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গেছে, সজলবাবু লিটল ম্যাগাজিন বিক্রি করতেন। নন্দন ও রবীন্দ্র সদন চত্বরে পরিচিত মুখ ছিলেন তিনি। তাঁর এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে মেট্রোর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে পার্ক স্ট্রীট মেট্রো স্টেশনে বিক্ষোভ দেখান শহরের নাট্যকর্মীদের একাংশ। দুর্ঘটনার পরের দিন সজল কুমার কাঞ্জিলালের মৃতদেহ আনা হয় রবীন্দ্র সদন চত্বরে। সেখানে তাঁকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন নাটক ও সংস্কৃতি জগতের মানুষেরা। অনেকেই আক্ষেপ করেছিলেন যে, মেট্রোর তরফে কেউ যদি রবীন্দ্র সদনে আসতেন, তাহলে যাত্রীদের কাছে ইতিবাচক বার্তা যেত। চাপে পড়ে অবশেষে শেষপর্যন্ত ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামল মেট্রো কর্তৃপক্ষ।