৭ দফায় বঙ্গে শেষ হয়ে যাবে তৃণমূল। এই ছিল বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের হুঁশিয়ারি। কিন্তু মুকুলের সেই হুঁশিয়ারির পর সময় গড়িয়েছে কিন্তু দফা আর এগোয়নি। বরং যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা ফের একে একে ফিরে আসছেন তৃণমূলে। চলছে ‘ঘর ওয়াপসি’। হ্যাঁ, হালিশহর, দক্ষিণ দিনাজপুরের পর এই রাজনৈতিক ধারায় যোগ হল কাঁচরাপাড়ার নামও। মুকুল-শুভ্রাংশু-অর্জুনদের হাত ধরে যেসব তৃণমূল কাউন্সিলররা দিন কয়েক আগেই পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন, এবার তাঁরাই তৃণমূলের নিশান নিয়ে মিছিল করলেন ‘কাঁচরাপাড়ার কাঁচা ছেলে’র খাস তালুকেই। কিছুদিন আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়ে যাঁরা পুরসভা পরিচালনা করছিলেন, সোমবার তাঁদেরই তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে মিছিল করতে দেখল কাঁচরাপাড়ার সাধারণ মানুষ।
পুরসভা যে তৃণমূলের দখলে রয়েছে তা জানান দিতেই গতকাল কাঁচরাপাড়া পুরসভার পুরপ্রধান সুদামা রায়, উপ-পুরপ্রধান মাখন সিনহা-সহ ২০ জন কাউন্সিলর থানা মোড় থেকে মিলননগর পর্যন্ত মিছিল করেন। সুদামা রায় বলেন, ‘বোর্ড এখন তৃণমূল কংগ্রেসের। আমাদের সঙ্গে রয়েছে ২০ জন কাউন্সিলর।’ উল্লেখ্য, গত শনিবারই তৃণমূল ভবনে যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে কাঁচরাপাড়ার চেয়ারম্যান সুদামা রায় এবং ভাইস চেয়ারম্যান মাখন সিনহা-সহ মোট ৯ কাউন্সিলর দলে ফিরে আসেন। তাঁদের মধ্যে এক নির্দল কাউন্সিলরও ছিলেন। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরে এসেছিলেন কাঁচরাপাড়া পুরসভার পাঁচ কাউন্সিলর। যার ফলে কাঁচরাপাড়ার ২৪টি ওয়ার্ডের পুরসভায় তৃণমূল কাউন্সিলরের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৯, যা ম্যাজিক ফিগার ১৩-র চেয়ে বেশ খানিকটাই বেশি।