মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে খোলনলচে বদলে গিয়েছে বাংলার শিল্পক্ষেত্র। তৃণমূল জমানায় রাজ্যে যেমন গড়ে উঠেছে নতুন নতুন শিল্পতালুক। তেমনই লগ্নীর জোয়ার এসেছে। এরই মধ্যে আগামী তিন বছরে রাজ্য থেকে ১,৫০০ কোটি মার্কিন ডলার (১ ডলার=৬৮.৫৪ টাকা) মূল্যের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্য সরকার। বর্তমানে রাজ্য থেকে মোট রপ্তানির মূল্য ১,০০৫ কোটি মার্কিন ডলার। সোমবার কলকাতায় কনফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন (সিডব্লিউবিটিএ)-এর পূর্বাঞ্চলীয় বাণিজ্য সম্মেলনে এ কথা জানান রাজ্যের শিল্পবাণিজ্য ও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
টেলিফোনের মাধ্যমে দেওয়া এক ভাষণে সম্মেলনে উপস্থিত প্রতিনিধিদের মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে রাজ্য সরকার একগুচ্ছ উদ্যোগ নিয়েছে। মন্ত্রীর কথায়, ‘গত অর্থ বছরে রাজ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির হার ছিল ১১.০৭ শতাংশ, যা জাতীয় রপ্তানি গড়ের থেকে বেশি। আমরা ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের রপ্তানি উৎসাহ নীতি প্রণয়ন করেছি। পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগমে রপ্তানি কমিশনারের আওতায় একটি বিশেষ রপ্তানি সেলও তৈরি করা হয়েছে। রপ্তানির জন্য আমাদের আশেপাশে বিরাট এলাকা রয়েছে। আমাদের রপ্তানি বাজারের ক্রেতা ৩০ কোটিরও বেশি।’
অন্যদিকে, ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ জানান, ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যের জন্য পশ্চিমবঙ্গই গেটওয়ে। তিনি বলেন, ‘আমরা ভারত থেকে যতটা আমদানি করি, তার ৯০ শতাংশই হয় পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে।’ উল্লেখ্য, দু’বছর আগে বাংলা থেকে মোট রপ্তানির অর্থাঙ্ক ছিল ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার। প্রতিবেশী বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ছাড়াও আসিয়ান ভুক্ত দেশগুলিতে বাংলা থেকে রপ্তানি হয়। বাংলা থেকে সবথেকে বেশি রপ্তানি হয় ইস্পাত। এর পরেই রয়েছে চর্মজাত সামগ্রী, দামি পাথর, বিদ্যুৎ চালিত মেশিন ইত্যাদি।