ব্যালটে ভোট হোক। এবার ইস্যুকে সামনে রেখেই এবারের একুশে জুলাই। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে এবার তৃণমূলের প্রধান দাবি থাকবে ইভিএম নয়, ব্যালটে ভোট। সোমবার বিকেলে রানাঘাটে তৃণমূলের জনসংযোগ যাত্রায় এসে একথা বলেন দলের জেলা পর্যবেক্ষক, মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিকেলে শহর তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় বিনয়ভবনের সামনে থেকে জনসংযোগ যাত্রায় বের হয়। জেলা নেতা, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে পা মেলান রাজীববাবু। মিছিলে সারা শহর প্রদক্ষিণ করে রানাঘাট পুরসভায় গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে মানুষের ঢল নামে। এদিন মিছিলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিধায়ক শঙ্কর সিং, জেলা সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু, রানাঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়, রানাঘাট শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অসিত দত্ত, কার্যকরী সভাপতি পিন্টু সরকার সহ বিধায়ক, বিভিন্ন পুরসভার চেয়ারম্যান, কর্মাধ্যক্ষ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, পঞ্চায়েত প্রধান সহ বিভিন্ন স্তরে জনপ্রতিনিধিরা।
তৃণমূল সবসময় মানুষের পাশে থাকে। মা-মাটি-মানুষের দল শুধু নির্বাচনের জন্য রাজনীতি করে না। না। তিনি জেলার নেতাদের বার্তা দেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মানুষের পাশে থাকতে হবে, কর্মীদের পাশে থাকতে হবে। রাজনৈতিকভাবে কর্মীদের বলেন, দরকার হলে আমি রোজ আসব। দলের সম্পদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই সেই দলের বিপর্যয় হতে পারে না। এদিন মিছিল থেকে তিনি বলেন, “সারা বিশ্বে যখন ইভিএম মেশিন বাতিল হয়ে গিয়েছে। সেখানে আমাদের দেশে এখনও ইভিএমে ভোট চলছে। তাতে প্রচুর কারচুপিও ধরা পড়েছে। তাই এবার আমাদের নির্বাচনে টার্গেট ইভিএম নয়, ব্যালটে ভোট করতে হবে”।
অন্যদিকে, রানাঘাট পুরসভায় কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির নিয়ে বিজেপির করা অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, “বিজেপি আগে নিজেদের দুর্নীতিগুলি দেখুক। তৃণমূল কংগ্রেস একমাত্র দল যাদের সেই অর্থে কোনও দুর্নীতি নেই। মানুষ এই দলটাকে সমর্থন করেছে এই কারণে যে এই দলটি মানুষের পাশে থাকে। বিরোধীরা তাদের রাজনৈতিক ইস্যুতে কিছু একটা বলতে হবে বলে এগুলি বলে। আগে ওরা নিজেদের দুর্নীতির পাহাড়গুলি দেখুক”।
এদিন বিকেলে শহর তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় বিনয় ভবনের সামনে থেকে জনসংযোগযাত্রায় জেলা নেতা, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় পা মেলান। সারা শহর প্রদক্ষিণ করে রানাঘাট পুরসভায় গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়। মিছিল চলাকালীন মন্ত্রীর সঙ্গে ছবি তুলতে গিয়ে বেশ কিছুটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরে মিছিল শেষে রানাঘাট চৌরঙ্গি এলাকায় একটি পথসভা করেন রাজীববাবু। সেখানে তিনি বক্তব্য রাখেন। এরপর সন্ধ্যায় চাকদায় অন্য একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে রওনা দেন।