গত ২৩ মে ফলপ্রকাশ হয়েছে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের। তারপর পেরিয়ে গেছে দেড় মাস। বিপুল ভোটে জিতে ক্ষমতায় ফিরেছে মোদী সরকার। এমনকী পেশ হয়ে গেছে সরকারের প্রথম বাজেটও। কিন্তু তাতে কী? কারও কারও লড়াই এখনও শেষ হয়নি। বড় মাপের একাধিক নেতার জয়কে আদালতে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গাডকরি, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মামলা গ্রহণ করে জয়ী সাংসদদের নোটিস পাঠিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, বারাণসী কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা ঠুকেছেন বিএসএফ থেকে বহিষ্কৃত জওয়ান তেজবাহাদুর যাদব। তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিল শেষবেলায়। তেজবাহাদুরের অভিযোগ, শেষ মুহূর্তে ষড়যন্ত্র করে তাঁকে ভোটের ময়দান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং মোদীর চাপেই ওই কাজ করেছেন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী আধিকারিক।
পাশাপাশি, দিল্লীর চাঁদনিচক কেন্দ্র থেকে জয়ী কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা ঠুকেছেন অরুণ কুমার নামে স্থানীয় এক ভোটার। তাঁর অভিযোগ, হর্ষবর্ধন তাঁর নির্বাচনী হলফনামায় নিজের স্ত্রীর কেনা অ্যাপার্টমেন্টের তথ্য উল্লেখ করেননি। আবার, উত্তর-পশ্চিম দিল্লীর গায়ক তথা বিজেপি সাংসদ হংসরাজ হংসের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পরাজিত কংগ্রেস প্রার্থী রাজেশ লিলোটিয়া। অভিযোগ, হলফনামায় ভুল তথ্য দিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, নাগপুর কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গাডকরির নির্বাচনী জয়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বোম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কংগ্রেস নেতা নানা পাটোলে। পরাজিত পাটোলের অভিযোগ, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অসৎ উপায় অবলম্বন করেছেন গাডকরি। ওদিকে, মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে ভোপালের বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন জনৈক রাকেশ দীক্ষিত। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনে জিততে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করেছেন প্রজ্ঞা। এভাবেই ফলপ্রকাশের পরও প্রশ্নের মুখে একাধিক বিজেপি নেতা। যা খুব একটা গৌরবের কিছু নয় গেরুয়া শিবিরের কাছে।