গত সপ্তাহে কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস জোটের ১৮ জন বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন। এমনকি নির্দল বিধায়কও কংগ্রেসের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছেন। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল কর্ণাটকের রাজনীতির আঙিনায়। এই ঘটনায় সেই বিধায়করা স্পিকারের দ্বারস্থ হলেও তিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। যার ফলে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে হয়।
বিদ্রোহী বিধায়করা সুপ্রিম কোর্টে গেলে দেশের সর্বোচ্চ আদালত মঙ্গলবারের মধ্যে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলে। এরমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী গত শুক্রবার বলেছেন, তাঁর সরকার স্থিতিশীল। তিনি বিধানসভায় গরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে তৈরি। আর আজ সকালেই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। এরপর জানা গেল, বিধানসভায় আস্থাভোট হবে আগামী ১৮ জুলাই বেলা ১১ টায়।
শুক্রবারই কংগ্রেস ও জেডি এস তাদের বিধায়কদের বিভিন্ন রিসর্টে সরিয়ে নিয়ে যায়। পাছে বিজেপি তাঁদের লোভ দেখায়, সেজন্য বিধায়কদের আলাদা রাখা হয়েছে। কুমারস্বামী বলেছেন, আমি একেবারেই উদ্বিগ্ন নই। আস্থাভোটে জয় নিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।
কংগ্রেস ও জেডিএস জোট এখনও বিদ্রোহী বিধায়কদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছে। জোটের ১৬ জন ও দুই নির্দল বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন। স্পিকার কে রমেশ কুমার এখনও ইস্তফা গ্রহণ করেননি। গত শুক্রবার তিনি সুপ্রিম কোর্টে বলেন, সকলে স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিতে চাইছেন নাকি কেউ তাঁদের ভয় দেখিয়ে ইস্তফা দিতে বাধ্য করছে, খতিয়ে দেখা দরকার। সেজন্য তাঁর কিছু সময় প্রয়োজন।
বিদ্রোহীরা সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ করেন, স্পিকার কংগ্রেসকে সময় দেওয়ার জন্য ইস্তফা নিতে টালবাহানা করছেন। ১০ জন বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছিলেন ৬ জুলাই। তাঁদের মুম্বইয়ে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁরা আছেন পাঁচতারা রেনেসাঁস হোটেলে। কংগ্রেসের ‘ট্রাবল শুটার’ ডি কে শিবকুমার রেনেসাঁস হোটেলে বিদ্রোহীদের সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু পুলিশ তাঁকে হোটেলে ঢুকতে দেয়নি।
বিধায়করা এদিনই মুম্বই পুলিশকে চিঠি দিয়ে বলেছেন, কংগ্রেস নেতারা তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে চাইতে পারেন। তাঁদের যেন হোটেলে ঢুকতে না দেওয়া হয়। কোর্টের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার বিদ্রোহী বিধায়করা মুম্বই থেকে বেঙ্গালুরুতে গিয়ে দ্বিতীয়বার স্পিকারের কাছে ইস্তফাপত্র দিয়ে আসেন। কারণ স্পিকার বলেছিলেন, এর আগে যে ইস্তফাপত্রগুলি জমা পড়েছে, তা যথাযথভাবে লেখা হয়নি।