কর্ণাটকের সরকার-বিধায়ক নিয়ে টানাপোড়েন যেন থামছেই না। যে যেন পাহাড়ি রাস্তার মতো, অবস্থার উত্থান-পতন লেগেই আছে। এই দোটানার মধ্যে প্রত্যেকদিন ঘটনার নতুন মোড় নিচ্ছে। কখনো বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের কয়েকজন ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করতে পারেন বলে খবর সামনে আসছে তো আবার পালা বদল ঘটছে ঘটনার। রবিবার আশার আলো দেখছিলেন কুমারস্বামী-সিদ্দারামাইয়ারাও। কিন্তু ফের ছন্দপতন। আজ কংগ্রেস-জেডিএস-এর শীর্ষে নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন ১৪ বিক্ষুব্ধ বিধায়ক। তাঁরা রয়েছেন মুম্বইয়ের একটি হোটেলে। পুলিসের কাছে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন বিধায়করা।
মুম্বই পুলিশকে চিঠি দিয়ে বিধায়করা জানান, মল্লিকার্জুন খাড়গে, গুলাম নবি আজাদ বা মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকের কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে রাজি নন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। বিধায়ক পদ বাতিল করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, সব বিধায়কের উপর হুইপ জারি করেছে জেডিএস এবং কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা শিবাকুমার জানান, বিধায়কদের উপর হুইপ জারি রয়েছে। বিধানসভার অধিবেশনে অংশগ্রহণ না করলে দলের নিয়ম অমান্য করা হবে। তাঁদের বিধায়ক পদ বাতিল হতে পারে। বিধায়কদের ইস্তফাপত্র নিয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না স্পিকার রমেশ কুমার। সে দিন সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানি। শীর্ষ আদালতের নির্দেশের উপরই এখন নির্ভর করছে কর্নাটকের সরকারের ভবিষ্যৎ।
প্রসঙ্গত, স্পিকার বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ইস্তফাপত্র না নেওয়ায় তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সুপ্রিম কোর্টও জানিয়ে দেয়, বিধায়কদের ইস্তফাপত্র দ্রুত গ্রহণ করে সিদ্ধান্ত নিক স্পিকার। পরে, স্পিকার রমেশ কুমার সুপ্রিম কোর্টে জানান, এক সঙ্গে এত কটা ইস্তফাপত্র গ্রহণের আগে নিয়ম মেনে খতিয়ে দেখা উচিত। তার জন্য সময়ের প্রয়োজন। এর পর সুপ্রিম কোর্ট ইস্তফা কাণ্ডে স্থগিতাদেশ জারি করে জানিয়ে দেয় মঙ্গলবার এর পরবর্তী শুনানি হবে।