প্রথমে বিশ্বকাপের ১৫ জনের প্রাথমিক দলে জায়গা পাননি ইংল্যান্ডের জোফ্রা আর্চার। কিন্তু রবিবার লর্ডসে সেই তিনিই দলকে এনে দিলেন প্রথম বিশ্বকাপ।গতকাল তাঁর হাতেই দলকে বিশ্বকাপ জেতানোর দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক অইন মর্গ্যান। সুপার ওভারে নিউজ়িল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। কিন্তু আর্চারের তুমুল দাপটে ১৫ রানে আটকে বিশ্বকাপ হাতছাড়া করে নিউজ়িল্যান্ড। ইংল্যান্ড জেতে ম্যাচে বেশি বাউন্ডারি মারার সুবাদে।
২৪ বছর বয়সি আর্চার এবারেই প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নেমেছিলেন। আর প্রথম বিশ্বকাপেই সুপার ওভারের দায়িত্ব, কী রকম অনুভূতি হচ্ছিল তাঁর? ম্যাচ শেষে আর্চার বললেন, ‘‘জানতাম, আমার হাতেই ম্যাচ জেতানোর দায়িত্ব এসে পড়তে পারে। মানসিক ভাবে তৈরিও ছিলাম। তাই মর্গ্যানের কাছে গিয়ে আরও এক বার জিজ্ঞাসা করি যে, আমাকেই শেষ ওভার করতে হবে কি না। অধিনায়ক নির্দ্ধিধায় বলে দেয়, আমাকেই সেই কাজটি করতে হবে।’’
কিন্তু প্রথম কয়েকটি বলে রান দিয়ে ফেলেন আর্চার।আর্চার বলছেন, ‘‘নিশাম ছয় মারার পরে প্রচণ্ড চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু মাঠা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করি। শেষ বলটি ঠিক জায়গাতে ফেলতে পারিনি ঠিকই, কিন্তু সেখান থেকে ছয় মারাও সম্ভব ছিল না। যাই হোক, স্বপ্নপূরণ হল।’’
লর্ডসের সবুজ পিচে টস জিতে ব্যাট নিয়েছিলেন নিউজ়িল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। আকাশও মেঘলা ছিল। যে সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিউজ়িল্যান্ডকে আড়াইশোর কমে আটকে রাখলেন ইংল্যান্ডের পেসাররা। তিনটে করে উইকেট নিলেন ক্রিস ওকস এবং লায়াম প্লাঙ্কেট।
নিউজ়িল্যান্ড ইনিংসের পরে প্লাঙ্কেট টিভি-তে বলছিলেন, ‘‘পিচটা খারাপ নয়। আমরা ঠিক লাইন-লেংথে বল রেখে নিউজ়িল্যান্ডকে আড়াইশোর কমে আটকে রাখতে পেরেছি।’’ বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলছেন, এ রকম স্বপ্ন কি ছোটবেলায় দেখতেন? প্রশ্নের জবাবে ইংল্যান্ডের এই পেসার বলেন, ‘‘মাঝে মধ্যে মনে হয় সব কিছু যেন স্বপ্ন। বারো বছর আগেও ভাবতে পারিনি কোনও দিন এ রকম একটা সময় আসবে। যখন দেশের হয়ে ফাইনাল খেলতে নেমে আমি কিছু অবদান রেখে যেতে পারব।’’