সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা শুনে তা দ্রুত সমাধানের চেষ্টাও করলেন হাবড়ার বিধায়ক তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শুধু এই একদিনই নয়, এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে নিয়ম করে এলাকার মানুষের অভাব–অভিযোগের কথা শুনবেন তিনি। আর হাতের কাছে মন্ত্রীকে পেয়ে এবং সমস্যার কথা বলতে পেরে খুশি এলাকার মানুষও। এদিন মন্ত্রী সাক্ষাৎপ্রার্থীদের কথা শুনে তা কাগজে নোট করে নেন। পরে সুযোগ মতো সেগুলি সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে জানান।
এব্যাপারে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “এখন থেকে প্রতি মাসের প্রথম ও তৃতীয় শনিবার এবং দ্বিতীয় ও চতুর্থ রবিবার হাবড়া পুরসভা ভবনে বসে মানুষের কথা সরাসরি শুনে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করব। তবে সাক্ষাৎপ্রার্থীদের মধ্যে সরকারি প্রকল্পে বাড়ি, বিধবা বা বার্ধক্য ভাতা পাওয়া, পারিবারিক বিবাদ মেটানোর আবেদনই বেশি”।
হাবড়া পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুমিতা রায় গত ৪ বছর ধরে জমি সংক্রান্ত পারিবারিক সমস্যায় ভুগছেন। তিনি এদিন হাজির হয়েছিলেন হাবড়া পুরসভায়। সেখানে বিধায়ক তথা খাদ্যমন্ত্রীর কাছে নিজের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। মন্ত্রী নিজের সাধ্যমতো সমাধান করার আশ্বাস দিলেন। অন্যদিকে, ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুজাতা হোড় নিজের চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে এসেছিলেন মন্ত্রীর কাছে। তাদের মতো এদিন হাবড়া বিধানসভা এলাকার বহু মানুষ মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নিজেদের সমস্যা, দাবির কথা বলেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোটের প্রচারে বেরিয়ে জ্যোতিপ্রিয় এলাকার বাসিন্দাদের কথা দিয়েছিলেন, তিনি তাঁর বিধানসভা এলাকার মানুষের অভাব–অভিযোগ শুনে তা মেটানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। নিজের দেওয়া সেই কথাই এখন থেকে নিয়মিতভাবে রাখার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী নিজেই।