বিশ্বকাপ দখলের লড়াইতে পরাজিত হলেও এক নতুন রেকর্ড গড়লেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। লর্ডসে বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলতে নেমে নতুন ইতিহাস রচনা করলেন কেন উইলিয়ামসন। ক্রিকেটের পুণ্যভূমিতে অধিনায়ক হিসেবে এক বিশ্বকাপে সর্বাধিক রানের কীর্তি গড়লেন নিউজিল্যান্ডের এই তারকা ব্যাটসম্যান। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফাইনালে খেলতে নামার আগে তাঁর নামের পাশে ছিল ৯ ম্যাচে ৫৪৮ রান। সেই সুবাদে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কাকে নেতৃত্ব দেওয়া মাহেলা জয়াবর্ধনের (৫৪৮ রান) পাশে বসেছিলেন তিনি। এদিন নিউজিল্যান্ড ইনিংসের দশম ওভারের চতুর্থ বলে রানের খাতা খোলা মাত্রই জয়বর্ধনেকে ছাপিয়ে রেকর্ডটি পুরোপুরি নিজের দখলে নিয়ে নেন উইলিয়ামসন।
তবে নিজের রেকর্ড গড়ার সাফল্য ম্লান হয়ে গেল দলের পরাজয়ের কাছে। বিশ্বকাপ ট্রফির কাছে গিয়েও তা ছুঁতে না পারার আক্ষেপ নিউজ়িল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের। এ দিন সচিন তেন্ডুলকরের হাত থেকে সেই পুরস্কার নিয়ে তিনি বলছেন, ‘‘বিশ্বকাপ জেতার জন্য ইংল্যান্ডকে ধন্যবাদ। ছেলেরা বিশ্বকাপটা হাত থেকে ছিটকে যাওয়ায় মুষড়ে পড়েছে। বিশ্বকাপ জিতে ফিরতে পারলে এই পুরস্কার আরও মধুর হত।’’ লিগের ম্যাচে শেষ তিন খেলায় হেরে সেমিফাইনালে গিয়েছিল তাঁর দল। তাই চার দলের মধ্যে সেই কেন উইলিয়ামসনের নিউজ়িল্যান্ডকেই অপেক্ষাকৃত দুর্বল ভেবেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সেমিফাইনাল ও ফাইনালে দুর্দান্ত ক্রিকেট উপহার দিল নিউজ়িল্যান্ড।
ম্যাচ শেষে তিনি বলে গেলেন, ‘‘টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কারণ, পিচ শুকনো। তাই ভেবেছিলাম, স্কোরবোর্ডে বড় রান তুলতে পারলে বিপক্ষ চাপে থাকবে। তবে আমাদের আরও ১০-২০ রান বেশি করতে হত। তা এখন বুঝতে পারছি।’’ নিউজ়িল্যান্ড অধিনায়ক সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘আমাদের বোলাররা ওদের পাল্টা চাপে ফেলে দিয়েছিল। শেষ বল পর্যন্ত লড়েছি আমরা। দুর্দান্ত লড়াইয়ের পরে শেষ পর্যন্ত আমাদের থেকে যেতে হল পরাজিতদের দলেই। তবে এই ম্যাচ থেকেও অনেক ইতিবাচক শিক্ষা নিয়ে বাড়ি ফিরছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এটা খুবই লজ্জার যে, বল স্টোকসের ব্যাটে লেগে চার হয়ে গেল। খেলার গতিতেই এটা হয়ে গিয়েছে। কী আর করা যাবে। তবে আশা করব, এই ঘটনা আর কোনও কোনও ম্যাচে হবে না। এই ভাবে কেউ যেন আর না হারে।’’