লোকসভা ভোটের পর থেকে যেখানে দলে-দলে নেতা-কর্মী যোগ দিতে শুরু করেন পদ্মশিবিরে। এবার পদ্ম শিবিরে জোর ধাক্কা দিলেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল৷ কার্যত উলাট-পুরান ঘটালেন অনুব্রত মন্ডল। অনুব্রতর নেতৃত্বে ৮০০ বিজেপি কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূলে৷
বিজেপির হাত থেকে পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। গত কয়েকদিন আগে তৃণমূলের হাত পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি। অনুব্রতের কৌশলি চালে পঞ্চায়তে সদস্যদের ‘ঘর-বাপসি’ ঘটিয়ে সিউড়ির কোমা পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। এবার আরও একবার মাস্টারস্ট্রোক দিয়ে বিজেপিকে জোড় ধাক্কা দিল শাসকদল তৃণমূল।
বোলপুর ব্লকের সিঙ্গি গ্রাম পঞ্চায়েতে ৮০০ বিজেপি কর্মী যোগদান করলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষের নেতৃত্বে এই সমস্ত কর্মীরা ফের একবার তৃণমূলে ফিরে আসেন। বোলপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় সুদীপ্ত দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে বিজেপি কর্মীদের যোগদান করান। কিন্তু এর পিছনে যে রয়েছে অনুব্রত মন্ডলের কৌশলি চাল তা মেনে নিচ্ছেন অনেক পোর খাওয়া রাজনীতিবিদই।
প্রসঙ্গত, ৭ আসন নিয়ে কোমা গ্রাম পঞ্চায়েত। গত ৪ তারিখ সিউড়ির কোমা পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান-সহ ৫ সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। খোদ অনুব্রত গড়ে বিজেপির শক্তি বৃদ্ধিতে যথেষ্ট চাপ বেড়েছিল তৃণমূলের। অনেকেই মুকুল-দিলীপের এহেন রণকৌশলকে মাস্টারস্ট্রোক হিসাবেই দেখেছিল। কিন্তু সময় ঘুরতে না ঘুরতেই সেই কেষ্টা গড়ে খেলা ঘোরায় শাসকদল তৃণমূল। প্রধান, উপপ্রধান-সহ যে ৫ জন সদস্য বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন, তাঁরাই আবার তৃণমূলে যোগদান করেন। তৃণমূলের এহেন মাস্টারস্ট্রোকে রীতিমত ধাক্কা খেয়েছে শাসকদলকে।
গত কয়েকদিন ধরে একের পর এক ধাক্কা বিজেপির। বাবা-ছেলের মুখে ঝামা ঘষে হাতছাড়া হওয়া একের পর এক পুরসভা ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। পর পর বিজেপির হাতছাড়া হয়েছে হালিশহর, কাঁচড়াপাড়া পুরসভা। এরই মধ্যে গত কয়েকদিন আগেই খোদ নিজের গড়ে ম্যাজিক দেখালেন কেষ্ট।