অবশেষে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর এইদিন বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোৎ সিং সিধু পাঞ্জাব মন্ত্রীসভা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন। রাহুল গান্ধীকে চিঠি দিয়ে নিজের পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন তিনি। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংয়ের সঙ্গে মতো বিরোধের জেরেই যে এই সিদ্ধান্ত এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
শনিবার এ কথা জানান সিধু নিজেই। তিনি বলেন, “আমি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁকে আমার ইস্তফাপত্র দিয়ে এসেছি। আমি নিজের কাজ করে যাবো। কিন্তু মন্ত্রীসভায় থাকতে চাই না।” নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে পদত্যাগপত্রের একটি ছবিও প্রকাশ করেন সিধু। পদত্যাগপত্রের তারিখ দেওয়া রয়েছে ১০ জুন। গত মাসে অবশ্য কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢড়ার সঙ্গে দেখাও করেন সিধু। তাঁদের সঙ্গে ছবি দিয়ে টুইটারে ৫৫ বছর বয়সী এই নেতা লেখেন, “কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে দেখা করে তাঁকে আমার চিঠি দিলাম ও পরিস্থিতির কথা বললাম।”
পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর থেকেই অমরেন্দ্র সিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নয় সিধুর। এর প্রভাব পড়েছে পাঞ্জাব কংগ্রেসে। এই দুই নেতার মধ্যে মতবিরোধের জেরে কিছুটা বেসামাল ছিল পাঞ্জাব কংগ্রেস। তাই অবশেষে ইস্তফা দিলেন অভিমানী সিধু। এখন এটাই দেখার কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্ব এই বিষয়কে কীভাবে সামাল দেয়।