ভারতের পরের সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। যেখানে ভারত তিনটি টি-টোয়েন্টি, তিনটি ওয়ান ডে ছাড়াও খেলবে দুটি টেস্ট। টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ান ডে থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে বিরাট কোহলি ও জশপ্রীত বুমরাকে। কাজেই ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন রোহিত শর্মা। টেস্ট সিরিজের আগে টিমের সঙ্গে যোগ দেবেন বিরাট। তার আগে বারেবারে প্রশ্ন উঠছে ধোনিকে নিয়ে। কি করবেন তিনি। কিন্তু এখনও অবধি মাহি বোর্ডকে কিছু জানাননি।
টিম নির্বাচন মুম্বইয়ে ১৭ বা ১৮ জুলাই। তার আগেই কি আসতে চলেছে ধোনির অবসরের সিদ্ধান্ত? পরবর্তী আইসিসি টুনার্মেন্ট অস্ট্রেলিয়ায় ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। নির্বাচকরা সেই টুর্নামেন্ট এবং ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের কথা ভেবে এখন থেকেই সামনের দিকে তাকাতে চান। প্রথম লক্ষ্য, দীনেশ কার্তিক, কেদার যাদবদের মতো ক্রিকেটারকে ছেঁটে ফেলে টিমে তাজা তরুণ রক্তের আমদানি করা। এ জন্য সদ্য বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির কোচ হওয়া রাহুল দ্রাবিড়ের মতামতও গুরুত্ব পাবে। নির্বাচকদের নজর আছে মনীশ পাণ্ডে, শ্রেয়স আয়ার, শুবমান গিল, সঞ্জু স্যামসনদের উপর। যাঁরা ভারতের মিডল অর্ডার সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। এ ছাড়াও নজরে থাকবেন পৃথ্বী শাহ, মায়াঙ্ক আগরওয়ালের মতো ওপেনাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই একধাঁক নতুন মুখকে টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে সুযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা। তেমনই বুমরার সঙ্গে বোলারদের মধ্যে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে ভুবনেশ্বর কুমার ও মহম্মদ সামিকে।
এ বার ধরেই নেওয়া হয়েছিল, ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপই হতে যাচ্ছে তাঁর শেষ ওয়ান ডে টুর্নামেন্ট। বিশ্বকাপে পারফরম্যান্সের গ্রাফ বিচার করলে তাঁর ক্ষেত্রে ভালো-খারাপ দুটো দিকই উঠে আসে। সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাঁর ব্যাটিং অর্ডার ঠিক ছিল কি না, সেই বিতর্ক চার বছরে থামবার নয়। সুনীল গাওস্কর যেমন মনে করেন, ২৪ রানে যখন চার উইকেট চলে গিয়েছিল, তখন ধোনির মতো অভিজ্ঞ কেউই হতে পারতেন সেরা বাজি। বলেছেন, ‘যখন ২৪ রানে চার উইকেট চলে গিয়েছে, পন্থের মতো কাউকে গাইড করার জন্য ধোনি হতে পারত সেরা লোক। পন্থ আর হার্দিক, দুজনেই স্ট্রোক প্লেয়ার। মারতে ভালোবাসে। একই ধরণের দুই ক্রিকেটার না নামিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের উচিত ছিল ধোনিকে নামানো।’ একই কথা বলেছেন ভিভিএস লক্ষ্মণও। যাঁর মতে, ছয় নম্বরে ধোনিকে নামালে ভারতের জেতার অনেক বেশি সম্ভাবনা থাকত।
এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে কি থাকবেন ধোনি? নাকি ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট তাঁর লক্ষ্য? আরও এক বছর খেলবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা। তবে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে অবসর নেওয়ার ভাবনা ধোনির কোনওদিন ছিল না, আজও নেই। ঘনিষ্ঠমহলে বলেওছেন সেটা। ২০১৪ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরে হঠাৎই মেলবোর্ন টেস্টের পর লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের সফলতম অধিনায়ক।