দেশে আচ্ছে দিন আনার স্বপ্ন দেখিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন তিনি। এখন মোদী বলছেন সবকা সাথ সবকা বিকাশ! কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসেও মোদী যে দেশের সমস্ত ধর্মের মানুষকে নিয়ে চলতে ব্যর্থ তা প্রমাণিত হল এমপিআই রিপোর্ট। যে রিপোর্ট জানান দিচ্ছে ভারতের দরিদ্র তালিকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হচ্ছে দলিত এবং মুসলিমরা।
গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপুঞ্জের ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম বা ইউএনডিপি এবং অক্সফোর্ড পভার্টি অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ বা ওপিএইচআই, মাল্টিডাইমেনশনাল পভার্টি ইনডেক্স বা এমপিআই ২০১৮ প্রকাশ করেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই রিপোর্টে প্রকাশ, ভারতে তফসিলি উপজাতির প্রতি দ্বিতীয়জন, তফসিলি জাতির প্রতি তৃতীয়জন, মুসলিম সমাদের প্রতি তৃতীয়জন এবং ১০ বছর বয়সের নিচে প্রতি পাঁচটি শিশুর মধ্যে দুজন দরিদ্র।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যের ৬৪০ জেলাজুড়ে ওই সমীক্ষা করা হয়েছে। তারপর ২০০৫–০৬ এবং ২০১৫–১৬ সাল, এই ১০ বছর সময়ের মধ্যে সেই রিপোর্টকে তুলনা করা হয়েছে। রিপোর্ট বলছে দেশের ৫০ শতাংশ আদিবাসী, ৩৩ শতাংশ দলিত এবং ৩৩ শতাংশ মুসলিমই গরিব। দেশের জনসংখ্যার মধ্যে ২৭ শতাংশই এমপিআই–এর মধ্যে বসবাস করে। তাদের মধ্যে ৩৪.৫ শতাংশ শিশু। রিপোর্টে যা আরও বেশি লক্ষ্যনীয় তা হল দেশের জনসংখ্যার ৮.৬ শতাংশ মানুষ অতি দরিদ্র। জনসংখ্যার মধ্যে অধিকাংশই দরিদ্র। রিপোর্ট বলছে সারা বিশ্বের ১০৫ দরিদ্রতম দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ৫৪ নম্বরে।
মোদীর আমলে দেশের মানুষের হাল যে এতটুকুও ফেরেনি তা ফের প্রমাণিত হল এই রিপোর্টে। আদতে মোদী ঠিক কতটা ব্যর্থ তাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই রিপোর্ট। তাই যতই উন্নয়নের ঢক্কানিনাদ বাজাক মোদী সরকার, রাষ্ট্রপুঞ্জের সাম্প্রতিকতম রিপোর্টের পর সেটা ফাঁপা আওয়াজ ছাড়া যে আর কিছুই নয় তা বলাই বাহুল্য।