তৃণমূলের ঘরে থাবা বসিয়ে দিল্লী থেকে মুকুলের হুঁশিয়ারি ছিল ৭ দফায় বঙ্গে শেষ হয়ে যাবে তৃণমূল দল। মুকুলের সেই হুঁশিয়ারির পর সময় গড়িয়েছে কিন্তু দফা আর এগোয়নি। বরং যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা একে একে ফিরে আসছেন তৃণমূলে। চলছে ‘ঘর ওয়াপসি’। শনিবার তৃণমূল ভবনে কাঁচরাপাড়ার ৯ দলত্যাগি কাউন্সিলরকে দলে ফিরিয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুকুলকে কটাক্ষ করে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অনেকেই ওনাকে বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য বলে থাকেন। সেই চাণক্য নিজের পাড়ার নিজের কাউন্সিলরদের রক্ষা করতে পারেন না। উনি এখন আর চাণক্য নন, মেড ইন চায়না।’ সম্প্রতি মুকুল রায় দাবি করেছিলেন, তৃণমূলের ১০৭ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চাইছেন। পাল্টা আক্রমণ সেঁধিয়ে অভিষেক বলেন, ‘সে ১০৭টা বিধায়কদের কথা বলছে। লজ্জা করা উচিত। নিজের এলাকার কাউন্সিলরদের যে রক্ষা করতে পারে না তিনি নাকি ১০৭ জন বিধায়ককে নিয়ে যাবেন।’ বিদ্রূপের সুরে অভিষেক বলেন, ‘এক কাজ করুন ২৯৪ই বলে দিন। ঘরে নেই নুন, ছেলে আমার মিঠুন!’
অভিষেক আরও বলেন, ‘যারা বিজেপিতে গেছে তাঁরা প্রত্যেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। ফল প্রকাশের পর থেকেই ভয় দেখানো শুরু হয়েছিল। হালিশহর এবং কাঁচরাপাড়া দুটো পুরসভায় তৃণমূলের দখলে এল। আগামী দিনে তৃণমূলই বোর্ড পরিচালনা করবে’। এরপরই ফের একবার মুকুলকে ঠুকে অভিষেক বলেন, ‘নিজের ছেলেটাকে রাখতে পারবেন তো? আসলে তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন মুকুলবাবু’। এদিন সব্যসাচী-মুকুল যোগ নিয়েও মুখ খোলেন অভিষেক। বলেন, ‘আমি তো শুনলাম সব্যসাচীকে নিয়ে উনি এক বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। ২ দফাতেই যাকে হাসপাতালে যেতে হয়, ৫ দফাতে তাঁকে তো আইসিইউতে ভরতি হতে হবে’।