এই নিয়ে চলতি মাসে দ্বিতীয়বার ঘটল আলিপুরদুয়ারে গণপিটুনির ঘটনা। শনিবার ছেলেধরা সন্দেহে এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে গণপুটিনির ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আলিপুরদুয়ারের মাঝেরডাবরি চা বাগান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্য করে পুলিশ। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। ঘটনায় আহত হন বেশ কয়েকজন চা শ্রমিক। উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৮ জুলাই ছেলেধরা সন্দেহে বেধড়ক পেটানো হলো এক ব্যক্তিকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়লেন এলাকার মানুষ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট-পাথড় ছোঁড়া হলো। লাঠি চালালো পুলিশও। সব মিলিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল এলাকা।
স্থানীয়দের সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন ধরেই মাঝেরডাবরি এলাকায় বহিরাগতদের আনাগোনায় ছেলেধরা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। আজ ভোরে চা বাগান এলাকায় এক যুবককে ধরে ফেলেন বাগানের নিরাপত্তা রক্ষী। অভিযোগ, অজ্ঞাতপরিচয় ওই যুবককে মারধর শুরু করেন বাগান শ্রমিকরা। বাগানের ম্যানেজার ওই যুবককে উদ্ধার করার চেষ্টা করায়, অফিস ঘরের দরজা ভেঙে ফেলা হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ, ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসর সেল। পুলিশ সূত্রে খবর, আহত যুবকের নাম তনুজ ঋষি। বিহারের কাটিহারের বাসিন্দা ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। ট্রেনে চড়ে আলিপুরদুয়ারে চলে আসেন ওই যুবক। তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।