গতকালই স্পিকারের কাছে আস্থা ভোটের আর্জি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী। তারপর শনিবার সকালে এই নিয়ে জল্পনা আরও উসকে দিয়ে কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী। সেই কারণেই আস্থা ভোটের দিকে এগোচ্ছি। বিজেপি ভয় পাচ্ছে, কারণ ওরা জানে তাদের দলের মধ্যেও কিছু কালো ভেড়া রয়েছে’। অর্থাৎ বিজেপির কিছু বিধায়ক কংগ্রেস-জেডিএস-র সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে? সরাসরি উত্তর না দিলেও তাঁর এই মন্তব্যে এমনই সূত্র খুঁজে পাচ্ছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
বিধায়কদের সংখ্যা-সঙ্কট নিয়ে টানাপড়েন চলছে কর্নাটকে। মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। ইস্তফা দেওয়া কংগ্রেসের ১৩, জেডিএসের ৩ জন বিধায়কের ভাগ্য ঝুলে রয়েছে স্পিকারের হাতে। এই অবস্থায় শুক্রবার বিধানসভার জরুরি অধিবেশন শুরু হয় ১১ দিনের জন্য। অধিবেশন শুরু হতেই মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী বিধানসভার স্পিকারের কাছে আর্জি জানান আস্থা ভোটের।
কুমারস্বামী আস্থা ভোটের আর্জি জানানোর পরই রিসর্ট-নাটক শুরু হয়ে গিয়েছে কর্নাটকে। ইস্তফা দেওয়া বিধায়কদের একটি অংশ এখনও মুম্বইয়ের হোটেলে রয়েছেন। তাঁদের চার জনকে শুক্রবার রেনেসাঁ হোটেল থেকে বেরিয়ে সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরে গিয়ে পুজো দিতে দেখা গিয়েছে। বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া। বিজেপি শুক্রবার রাতে তাদের বিধায়কদের বেঙ্গালুরুর রামদা হোটেলে নিয়ে যায়।
জেডিএসের দাবি, বিধানসভায় শক্তি পরীক্ষা দিতে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। কুমারস্বামী যে বিপুল ভোটে জিতবেন, তা ভাল করেই তারা জানে। সে কারণেই বিধায়কদের হোটেলে নিয়ে যাওয়ার তড়িঘড়ি এই ব্যবস্থা।