সমস্ত জল্পনাকে সত্যি করে দ্বিতীয় মোদী সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশের দিনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, রেল এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থার বেসরকারিকরণের পথেই হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সংসদে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানিয়ে দিলেন, এয়ার ইন্ডিয়ার বেসরকারীকরণ হচ্ছেই। তবে জানা গেছে, ভারতীয় কোনও সংস্থাকেই এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি করতে চায় সরকার। এদিকে দেশের গর্ব এয়ার ইন্ডিয়া-সহ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির বিকেন্দ্রীকরণের তীব্র বিরোধীতা করছে তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার লোকসভার প্রশ্নোত্তরপর্বে অসামরিক বিমান পরিবহণ বিষয়ক একগুচ্ছ প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল-সহ বিভিন্ন দলের সাংসদরা। প্রশ্ন ওঠে জেট এয়ারওয়েজ বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়েও। মন্ত্রী জবাব দিলেও তাতে সন্তুষ্ট হননি তৃণমূল সাংসদরা। দলের দুই প্রবীণ সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌগত রায় বলেন, ‘লাভজনক হোক বা অলাভজনক, দেশের গর্বের সংস্থাগুলিকে একের পর এক বেসরকারি সংস্থার কাছে বিক্রি করে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করে তৃণমূল। একসঙ্গে ৪২টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নীকরণ মেনে নেওয়া যায় না। এই ভাবে গোটা দেশকে বিক্রি করতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।’
মন্ত্রীর দাবি, ‘এয়ার ইন্ডিয়া অত্যন্ত ভাল পরিষেবা দিচ্ছে। এই সংস্থা দেশের গর্ব, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু, সংস্থাটির ঋণের বোঝা বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া এয়ার টার্বাইন ফুয়েলের দাম, অপরিশোধিত তেল, রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বাড়ছে। এয়ার ইন্ডিয়া অত্যন্ত কম টাকায় পরিষেবা দিয়ে চলায় চলতি খাতে ক্ষতি ৭ হাজার কোটিরও বেশি। তাই বাধ্য হয়েই বিকেন্দ্রীকরণ।’ কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি জানতে চেয়েছিলেন, এয়ার ইন্ডিয়া যদি সত্যিই ভাল পরিষেবা দিচ্ছে, তাহলে বিকেন্দ্রীকরণ কেন? মন্ত্রীর সাফাই, ‘ভারত-পাক সম্পর্কে অবনতির সময় পাকিস্তানের আকাশ এড়িয়ে উড়তে এয়ার ইন্ডিয়াকে বিকল্প পথে অতিরিক্ত ৪৩০ কোটি টাকা খরচ করতে হয়েছিল।’