লোকসভা ভোটের পর থেকে বিজেপির দুষ্কৃতীবাহিনীর তান্ডবে সেই যে তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকদের রক্ত ঝড়তে শুরু করেছিল, ২ মাস কেটে যাওয়ার পরেও সেই ধারা অব্যাহত। এবার ফের খুন হলো শাসকদলের একজন নেতা৷ ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদের প্রদীপডাঙা৷ দুষ্কৃতীদের গুলি-বোমায় প্রাণ হারালেন পাশের হুমাইপুর অঞ্চলের তৃণমূল আহ্বায়ক সফিউল হাসান৷ শুক্রবার দুপুরে গাড়ি থেকে নামিয়ে গেরুয়া বাহিনীর দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি-বোমা ছোঁড়ে৷ ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই তৃণমূল নেতা৷ অভিযুক্তরা এখনো অধরা। পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে৷
শুক্রবার দুপুরে গাড়ি করে হুমাইপুর থেকে হরিহরপাড়ায় যাচ্ছিলেন তৃণমূল নেতা সফিউল হাসান৷ অভিযোগ, প্রদীপডাঙা এলাকায় মোটরবাইকে চড়ে আসা বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী সফিউলের গাড়ি ঘিরে ধরে থামায়৷ তিনি গাড়ি থেকে নামলে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা৷ বোমাবাজিও করা হয়৷ গুলি এবং বোমার ঘায়ে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি৷ আচমকা ভরদুপুরে গুলি-বোমাবাজির শব্দে হকচকিয়ে যান স্থানীয়রা৷ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে জড়ো হন তাঁরা৷ পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে শূন্যে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালাতে চালাতে অবশেষে তাঁরা এলাকা ছাড়ে।
রক্তাক্ত অবস্থাতেই এলাকাবাসী সফিউলকে উদ্ধার করে৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে৷ তবে বাঁচানো সম্ভব হয়নি ওই তৃণমূল নেতাকে৷ এলাকাবাসীর সূত্রে খবর মিলেছে, সেই অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই বিজেপি কর্মী। সফিউল দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত৷ হুমাইপুর অঞ্চলের তৃণমূলের আহ্বায়ক ছিলেন তিনি৷ তাঁর স্ত্রী হুমাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান৷ পরিজনদের দাবি, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে বারবার প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল সফিউল হাসানকে৷ তবে তাতে বিশেষ গুরুত্ব দেননি ওই তৃণমূল নেতা এবং তাঁর পরিজনেরা৷ হুমকির পালটা ব্যবস্থা নিলে হয়তো প্রাণহানি ঘটত না বলেই আক্ষেপ নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী তথা স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের৷ কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷