মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানহানির চেষ্টায় এবং রাজ্যের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে আগেও বহুবার নোংরামির সীমা ছাড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে বারবারই প্রকাশ্যে চলে এসেছে তাদের মিথ্যাচার। এবারও বিতর্ক তৈরি করতে চেয়ে হঠাতই বিজেপি নেতা মুকুল রায় দাবি করে বসেন, কেন্দ্রের ইএসআইসি বোর্ডে দোলা সেনের জয় নিশ্চিত করতে বিজেপির সমর্থন চেয়েছিলেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যাস, আর যায় কোথায়! মুকুলের এ হেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে শীঘ্রই তাঁর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস আনতে চলেছে তৃণমূল। আগামী সপ্তাহে রাজ্যসভায় এই বিষয়টি উত্থাপন করা হবে বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইএসআইসি বোর্ডে সম্প্রতি নির্বাচন হয় এবং তাতে জয়লাভ করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন। কিন্তু তারপরই দোলা সেনের জয় নিয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুকুল বলেন, দোলাকে জেতাতে কংগ্রেস, সিপিএমের পাশাপাশি বিজেপিরও সমর্থন চেয়েছিল তৃণমূল। মুকুলের দাবি, এই সমর্থন চেয়েছিলেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই মন্তব্যের স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজ্য রাজনীতিতে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেয় মুকুলেই মিথ্যাচারে ক্ষুব্ধ তৃণমূল। মুকুলের দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে মমতার দল। এরপরেই বিজেপি নেতার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস আনার কথা জানানো হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে।
এই প্রসঙ্গে মুকুল রায়কে তীব্র কটাক্ষ করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। তিনি বলেন, সংসদ ও সংসদীয় কার্যপ্রণালী নিয়ে তাঁর অজ্ঞতার ফলেই এমন মন্তব্য করেছেন মুকুল রায়। সুখেন্দু শেখর রায় জানান, ইএসআইসি বোর্ডের ভোট কোনও দলীয় প্রতীক ছাড়া গোপন ব্যালটে হয়। এমনকী এই নির্বাচনে কোনও দল হুইপ জারিও করতে পারে না। তার পরেও ইএসআইসি বোর্ডে দোলা সেনের জয়লাভ নিয়ে মুকুল রায়ের এই মন্তব্য হাস্যকর বলে মন্তব্য করেন তিনি। এবং এতে সংসদ ও সংসদীয় কার্যপ্রণালী নিয়ে তাঁর অজ্ঞতার পরিচয় পরিচয় মিলেছে বলেও দাবি করেন সুখেন্দু বাবু।