আদি-নব্য দ্বন্দ্ব গ্রাস করছে গেরুয়া শিবিরকে। সঙ্গে যোগ হয়েছে আরএসএস-বিজেপি দ্বন্দ। বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হচ্ছে বিজেপি কর্মীরা। এবার তেমনই অভিযোগ তুললেন বর্ধমানের আরএসএস নেত্রী সঙ্গীতা চক্রবর্তী। অভিযোগ, রাতারাতি তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দফতর দখল করে নিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা অঞ্জন মুখোপাধ্যায়। সেজন্য রীতিমতো ফেসবুক লাইভ করে জেলা বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন সঙ্গীতাদেবী। সেখানে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের দিকে সরাসরি আঙুল তুলেছেন তিনি।
সঙ্গীতাদেবীকে ফেসবুক লাইভে বলতে শোনা গেছে, বর্ধমান শহরের বীরহাটায় আরএসপি-র দফতরের একটি ঘরে দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দফতর চালান তিনি। বেশ কিছুদিন ধরে সেটি দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন অঞ্জনবাবু। বৃহস্পতিবার রাতে ঘরটিকে বাইরে থেকে রং করে বিজেপির পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয় তার সামনে। ভিতরে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার যাবতীয় নথিপত্র ও আসবাব ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় রাস্তায়। এর পরই শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে ফেসবুক লাইভে অভিযোগ জানান তিনি।
ফেসবুক লাইভে সঙ্গীতা চক্রবর্তী বলেন, ‘দিলীপ ঘোষকে পিছন থেকে ছুরি মারছে বিজেপিরই একাংশ। সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামীদের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন বিজেপি কর্মীরাই। নেতৃত্বের রাশ হাতে পেতেই একাজ করা হচ্ছে।’ তবে সঙ্গীতাদেবী জানিয়েছেন, নেতৃত্বে আসার কোনও সাধ নেই তাঁর, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির দফতর দখলের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন অঞ্জনবাবু। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের মদতে ছিল তাঁর পিছনে। এমনকী অঞ্জনবাবুর কাছ থেকে সুব্রতবাবু কাটমানি নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।’
লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকে বঙ্গ বিজেপির দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হয়ে উঠেছেন সুব্রতবাবু। দিলীপ ঘোষরা দিল্লী যাওয়ায় গোটা রাজ্য বিজেপির ভার পড়েছে তাঁর কাঁধেই। এহেন নেতার বিরুদ্ধে খুল্লামখুল্লা অভিযোগ বিজেপির অস্বস্তি বাড়াল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।