সাধারণত চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খাওয়াদাওয়া, ওষুধপথ্যেই এত দিন কমেছে হরেক কিসিমের ভাইরাল ফিভার। তবে সময় বদলের সঙ্গে জীবাণুরাও তাদের চরিত্র বদলাচ্ছে। তাই ভাইরালেও প্রয়োজন পড়ছে বাড়তি সতর্কতা। বিশেষ করে ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যানসার ও কিডনির অসুখে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে এই সচেতনতা আরও বাড়ানো দরকার৷ আর বর্ষাকালে ভাইরাল ফিভারকে অবহেলা করা মোটেও উচিৎ নয়৷ তাই জেনে নেওয়া যাক ভাইরাল ফিভারে কি করবেন আর কি করবেন না?
কি করে বুঝবেন আপনি ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত—
সব সময় যে খুব বেশি জ্বর হবেই এমন কোনও কথা নেই। হালকা গা গরম থেকেও শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ভাইরাল ফ্লু।
জ্বরের সঙ্গে গা-হাত-পায়ে ব্যথা থাকে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই।
অ্যালার্জির প্রভাবে নাক দিয়ে কাঁচা জল ঝরা, সর্দি-কাশির প্রভাব থাকে।
জ্বরের সঙ্গে মাথা যন্ত্রণা, দুর্বল লাগাও এই অসুখের অন্যতম লক্ষণ।
ভাইরাল হলে তাই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক। প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিকেও জ্বর তিন-চার দিনে না কমলে রক্ত পরীক্ষাও করতে হবে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলার পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। পরামর্শ দিলেন চিকিৎসক।
যতটা সম্ভব বৃষ্টি এড়িয়ে চলুন। অল্প ভিজলেও ঠান্ডা লাগতেই পারে। তার হাত ধরে জ্বরে পৌঁছে যাওয়া নতুন কিছু নয়।
বৃষ্টিতে ভিজেই এসি-তে প্রবেশ নয়। বরং ভিজে গেলেই ভাল করে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করে নিন বাড়ি ফিরে। এতে বৃষ্টির জলের দূষণ শরীর থেকে ধুয়ে যায় আবার জল বসে থাকতে পারে না শরীরে।
ঠান্ডার ধাত থাকলে গোটা বর্ষাকাল জুড়েই গা সওয়ানো উষ্ণ জলে স্নান করুন।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ নয়, কড়া ডোজ দিতে বলার অনুরোধও চলবে না।
পাতে বাড়ান সবুজ শাক-সব্জি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে এমন খাবারদাবার।
শরীরে জলের পরিমাণ কমিয়ে ফেললে চলবে না। তাই ঠান্ডা পানীয়, মদ্যপান এ সব থেকে বিরত থাকুন। এরা শরীরকে শুষ্ক করে অসুখ ডেকে রোগ প্রতিরোধকে মেরে ফেলে। সঙ্গে ভিতর থেকে দুর্বল করে শরীর।
মশারি টাঙিয়ে ঘুমনোর অভ্যাস করুন। ভাইরাল রোখার সঙ্গে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়াও কম হয় না এ সময়।
বেশি দূষণযুক্ত এলাকায় থাকলে চেষ্টা করুন মাস্ক ব্যবহার করতে।
কাশি হলেই কাফ সিরাপ নয়। একান্ত দরকার পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।