কিছুদিন আগেই বিহার দেখেছিল মৃত্যুমিছিল। একের পর এক শিশু মারা যাচ্ছিল এনসেফেলাইটিসের শিকার হয়ে। খালি হচ্ছিল একের পর এক মায়ের কোল। এবার বিহারের মতই চিত্র দেখা গেল আসামেও। এনসেফেলাইটিসের জেরে আসামে অব্যাহত মৃত্যুমিছিল। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫৬।
অসমে জেই ও এইএস ছড়ানোয় পড়শি রাজ্য ত্রিপুরাতেও সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। উত্তর ত্রিপুরা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগদীশ নমঃ জানিয়েছেন দামছরা এলাকায় ৮ বছরের দীপঙ্কর রুপিনির শরীরে জুনের শেষে জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের জীবানুর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। তবে সে সুস্থ হয়ে উঠেছে। ওই এলাকায় জীবাণুনাশক ছড়ানো হয়েছে। পরীক্ষামূলক ভাবে বাসিন্দাদের রক্তপরীক্ষাও করা হচ্ছে।
বর্তমানে রাজ্যের হাসপাতাল গুলিতে ১৪০ জন ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে ৪০ জন আইসিইউতে ভর্তি। ১০ জন ভেন্টিলেটরে আছেন। রাজ্য সরকার সকলের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। উল্লেখ্য, রাজ্যের ২৭টি জেলাতেই রোগ ছড়িয়েছে। তার মধ্যে কামরূপ মহানগর ও কামরূপ, যোরহাট, দরং, ডিব্রুগড়, লখিমপুর, নগাঁও জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এইএসে আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে ১০৯২ জন হাসপাতালে ভর্তি। স্বাস্থ্য কমিশনার তথা সচিব অনুরাগ গোয়েল সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির কর্তাদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। বিশেষ করে শূকর শাবকদের মধ্যে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায় সে দিকে নজর রাখার জন্য পশুপালন দফতরকে বলা হয়েছে।