কর্ণাটকে বিজেপির ঘোড়া কেনা-বেচা নিয়ে কয়েক দিন ধরেই সংসদের কংগ্রেসের পাশাপাশি সব বিরোধীদল প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে৷ এমনকী রাহুল গান্ধী পর্যন্ত কংগ্রেসের অন্য সংসদের সঙ্গে এই নিয়ে বিক্ষোভ জানিয়ে সংসদ ত্যাগ করেছিলেন৷ তাঁরই কথার প্রতিধ্বণি শোনা গিয়েছে দেবেগৌড়ার মুখেও৷
কর্ণাটকে চলছে পদ্ম অভিযান চালাচ্ছে বিজেপি৷ কংগ্রেস-জেডিএস ও জোট সরকারকে সরিয়ে রাজ্য দখল করতে চাইছে অমিত-মোদীর দল৷ আর তাই তাঁরা সরাসরি বিধায়ক কেনার খেলায় ময়দানে নেমেছেন৷ একটি জাতীয় চ্যানেলকে সাক্ষাৎ দিতে গিয়ে এমনটাই অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা জনতা দল সেক্যুলার এর সুপ্রিমো এইচডি দেবেগৌড়া৷ তাঁর পরিষ্কার অভিযোগ, দেশজুড়ে বিজেপি টাকা ছড়িয়ে দল ভাঙাচ্ছে৷ এখনই বিরোধীরা এককাট্টা না হলে সবার ঘর ভেঙে তছনছ করে দেবে পদ্ম শিবির বলে দেশের সব বিরোধীদলগুলিকে সাবধান করে দেন তিনি৷
তাঁর কথায়, এ কেমন দেশ! যেখানে একটি রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রীকে অন্যরাজ্যের পুলিশ হোটেলে ঢুকতে দেয় না উলটে তাঁকে গ্রেফতার করে? বুকিং থাকলেও কেন ডি শিবকুমারকে মুম্বইয়ে পাঁচতারা হোটেলে ঢুকতে দেওয়া হল না? এর নাম কি গণতন্ত্র! ছেলে কুমারস্বামীর মতে বাবা দেবেদৌড়াও ,সাংবাদিকের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন৷ তিনি জানান, এখন অঘোষিত জরুরী অবস্থা চলছে দেশজুড়ে৷ তাঁর কথায়, বুধবার মুম্বইয়ে যা হল তা আমি আমার ৬০ বছরের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কখনও দেখিনি৷ এ জিনিস চলতে দেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি৷
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় পর্যন্ত এই বিষয়ে বিজেপির তুমুল প্রতিবাদ করে কংগ্রেসর পাশে দাঁডি়য়েছেন৷ তাঁর প্রশ্ন, ক্ষমতা দখলের জন্য বিজেপির কীসের এত লোভ? শুধু তাই নয় তিনি বাংলা বিধানসভায় এই নিয়ে বিজেপিকে ধিক্কার জানিয়েছেন৷ তাঁকে সমর্থন করেছেন বিরোধী কংগ্রেসও বামফ্রন্ট৷